সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এখলাছ মিয়ার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে ইউএনওর কাছে অভিযোগ ও তাকে (এখলাছ) সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আব্দুল জলিলের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে গড়াকাটা বাজারে স্থানীয় এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
গড়াকাটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল এখলাছ মিয়ার বিরুদ্ধে গত ১ আগস্ট একই ইউনিয়নের পনারকুড়ি গ্রামের জামাল বাদশা নামে এক ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। ওই অভিযোগে বলা হয়, জামাল বাদশার বাবা আব্দুল হালিম ও তার চাচাতো বোন রাবেয়া খাতুনসহ কয়েকজনের কাছ থেকে আশ্রয়ণের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৮২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউপি সদস্য এখলাছ মিয়া। কিন্তু জামাল বাদশা জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেননি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলিল লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী সাজিয়ে এখলাছ মিয়ার বিরুদ্ধে বক্তব্য মুঠোফোনে রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এতে এখলাছ মিয়া সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হন বলে মানববন্ধনে জানানো হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এখলাছ মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ ও জলিলের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন, বাচ্চু মিয়া, দুলাল মিয়া, সিরাজ মিয়া, নূর জাহান, কুলসুম প্রমুখ। মানববন্ধনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রামের নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণির দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
ইতোমধ্যে এখলাছ মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। ওই কমিটির তদন্তে এখলাছ মিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। আগামী বুধবার বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে তদন্ত করা হবে।