মধ্য আমেরিকায় হারিকেন জুলিয়ার আঘাতে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে এল সালভাদর এবং গুয়াতেমালায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার নিকারাগুয়ায় আঘাত হানার পর হারিকেন জুলিয়া বিলুপ্ত হয়ে গেলেও প্রশান্ত মহাসাগরে ফের সেটি শক্তি সঞ্চয় করে। ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে গুয়াতেমালা এবং এল সালভাদরে।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি। আরেক বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ২৫ বলে জানানো হয়েছে।
এপি বলছে, ঝড়ের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ফলাফল হিসেবে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সালভাদোরান কর্তৃপক্ষ পাঁচ সৈন্যসহ ১০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। আরও বলা হয়েছে এক হাজারেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
গুয়াতেমালার দুর্যোগ প্রতিরোধ সংস্থা জানিয়েছে, আলতা ভেরাপাজ প্রদেশে পাহাড় ধসে পাঁচজন মারা গেছে, তাদের কবর দেয়া হয়েছে। এছাড়া মেক্সিকোর নিকটবর্তী হুয়েহেতেনাঙ্গো প্রদেশে উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে এক সৈন্যসহ নয়জন মারা গেছেন।
এল সালভাদরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোমাসাগুয়া শহরে আশ্রয় নেওয়া একটি বাড়িতে প্রাচীর ধসে পাঁচজন সৈন্য মারা গেছে। ওই এলাকায় শত শত পুলিশ এবং সৈন্য গ্যাং-বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক সেনা।
এল সালভাদরের পূর্বাঞ্চলীয় গুয়াতাজিয়াগুয়ার শহরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাড়ির প্রাচীর ধসে আরও দুইজন মারা গেছেন। এল সালভাদরের আরেকজন মানুষ স্রোতের কবলে পড়ে মারা গেছেন এবং গাছ চাপা পড়ে আরেকজন প্রাণ হারিয়েছেন।
এল সালভাদরের বহু নদী ভারী বৃষ্টির কারণে কার্যত উপচে পড়েছে। এতে করে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পাশাপাশি ৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে দেশটি।
পার্শ্ববর্তী হন্ডুরাসে ২২ বছর বয়সী এক নারী স্রোতের কবলে পড়ে প্রাণ হারান এবং উত্তর হন্ডুরাসে নৌকা ডুবে আরও তিনজন মারা গেছেন। এছাড়া নিকারাগুয়ায় গাছ পড়ে পৃথক এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দু’জনের মৃত্যুর তথ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পানামার জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো। এছাড়া কোস্টারিকার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আরও প্রায় ৩০০ লোককে সরিয়ে নিয়েছে দেশটি।