ইউনুছ আলী (৪০)। গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। প্রায় ৮/১০ বছর আগে গাছ কাটতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে কোমরের হাড় ভেঙে যায় তার। এরপর থেকে বড় ধরণের কোন কাজ করতে পারেন না তিনি। ৩ বোন ও মাকে নিয়ে অভাব অনটনে দিন পার করছেন।
সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে একটি ভ্যানগাড়ি দেওয়া হয়। শুধু ইউনুছ আলীই নয়, উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভ্যানগাড়ি পান আরও দুজন।
ভ্যানগাড়ি ইউনুছ আলী বলেন, ‘কোন কাজ করতে পারি না। ৩ বোন ও মাকে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। সহায়-সম্ভবল বলতে কিছুই নেই। সমাজসেবা অফিস থেকে ভ্যানগাড়ি পেয়ে খুবই খুশি। এখন ভ্যানগাড়ি দিয়ে কিছু করে পরিবারের অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারব।’
জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রথম ধাপে ৩ জন হতদরিদ্রকে ৩টি ভ্যানগাড়ি প্রদান করা হয়। ৩টি ভ্যানগাড়ির জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে ভ্যানগাড়ি প্রদানের সময় নগদ অর্থ, সবজি, মুদি দোকানের মালামালও প্রদান করা হয়।
ভ্যানগাড়ি পাওয়া অন্য দু’জন উপকারভোগী হলেন, পৌর এলাকার স্বরস্বতী গ্রামের বাসিন্দা মাতাব উদ্দিন (৪০) ও পৌর এলাকার রণকেলী দিঘীরপাড় গ্রামের রমু আলী (৬০)।
রমু আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,’৭ সদস্যের পরিবার আমার। এরমধ্যে বড় ৩ মেয়েও ছোট ছোট দুই ছেলে আর স্ত্রী। খুবই অভাবের সংসার। মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে খেতে হয়। সমাজসেবা অফিস থেকে ভ্যানগাড়ি দেওয়ায় এখন কিছু একটা করতে পারবো। হয়তো ভ্যানগাড়িতে ফেরি করে কিছু বিক্রি করব আর না হয় মানুষের বিভিন্ন জিনিসপত্র টেনে সংসার চালাব।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল হক বলেন, প্রথম ধাপে আমরা ৩জনকে ভ্যানগাড়ি প্রদান করেছি। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্যই এমন উদ্যোগ।