বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের ন্যায় বসে থাকা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিদায় ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে। জুলুম-নিপীড়ন ও ষড়যন্ত্র এবার কোন কাজে আসবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, সরকার নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে আবারো দেশব্যাপী হামলা-মামলা, গণগ্রেপ্তারের হিংসাত্মক রাজনীতি শুরু করেছে। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া মানুষ আজ না খেয়ে ধুকছে। আর সরকারের মন্ত্রী এমপিরা উন্নয়নের বুলি শুনিয়ে লুটপাট-দুর্নীতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। জনগণের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নাই। তারা গদি চায়, তারা ক্ষমতা চায় আর লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছাতে চায়।
রোববার (২৮ মে) বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির শুরুর পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধিনস্থ আদালত ও সরকার কর্তৃক অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় গণগ্রেপ্তার, পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতর লোডশেডিং ও সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিসহ ১০ দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত পদযাত্রা কর্মসূচি বেলা ২টায় নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে সুবিদবাজার এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
কর্মসূচিতে সিলেট মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন, ৪২টি ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
বিএনপি নেতা আফজাল উদ্দিনের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে সূচিত পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, মহানগর সাবেক যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্য থেকে হুমায়ুন কবির শাহীন, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, বাবু সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, নজিবুর রহমান নজিব, সালেহ আহমদ খসরু, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্যদের মধ্যে থেকে এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, মাহবুব কাদির শাহী, মুকুল আহমদ মোর্শেদ, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মাহবুব চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মকুসদ আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বখত চৌধুরী তারেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু তাহের, কোহিনুর আহমদ, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, আবুল কাশেম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, জসিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ ও এড. আল আসলাম মুমিন, মহানগর বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, সাবেক স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. আশরাফ আলী, সাবেক পরিবার কল্যান সম্পাদক লল্লিক আহমদ চৌধুরী, সাবেক পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক আব্দুল জব্বার তুতু, ওয়ার্ড সভাপতিদের মধ্যে থেকে বাবু নিহার রঞ্জন দে, আমির হোসেন, সাদিকুর রহমান সাদিক, মির্জা বেলায়েত হোসেন লিটন, আক্তার রশীদ চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জোতি এষ, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হাকিম, মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, শেখ কবির আহমদ, শোয়াইব আহমদ সোয়েব, লুৎফুর রহমান মোহন, নাজিম উদ্দিন, মো. বাচ্চু, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, মিজান আহমদ, তারেক আহমদ খান, নাদির খান, মো. খায়রুল ইসলাম খায়ের।
ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, রাজিব কুমার দে, আলমগীর হোসেন, মিনহাজ পাঠান, এস, এম সায়েম, রুবেল বক্স, সাব্বির আহমদ, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির, রাসেল আহমদ, আবু সাঈদ মো. তায়েফ, ফয়েজ আহমদ মুরাদ, আব্দুল আজিজ লাকি, লোকমানুজ্জামান, আব্দুল মালিক সেকু, রফিকুল ইসলাম রফিক, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, জমজম বাদশা, সুলতান আহমদ, মহানগর জাসাসের আহ্বায়ক তাজ উদ্দিন মাসুম, সদস্য সচিব রাসেল আহমদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জীবন।
ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে আব্দুল মুনতাসির চৌধুরী সাব্বিহ, জাহেদ আহমদ খান, মঈন খান, দুলাল আহমদ, রাসেল আহমদ খান, সাইফুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন রব, আবুল হোসেন, মিজানুর রহমান পাভেল, সহিদুর রহমান সানি, ফরহাদ আহমদ, শিপলু বক্স, ফয়েজ আহমদ শিপু, আব্দুল মুনিম, সুজন আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা লোকমান আহমদ, আব্দুল হাফিজ, আলী আকবর, আলাউদ্দিন রিপন, আজিজুর রহমান, জালাল খান, মাহবুব আলম, বাদশা আহমদ, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, সুলতানা রহমান দিনা, নাজিম উদ্দিন পান্না, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, আক্তার হোসেন রাজু, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, অলি চেয়ারম্যান, সৈয়দ এনায়েত হোসেন ও সুহেল ইবনে রাজা, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি জুবের আহমদ জুবের, সহ সভাপতি মাসরুর রাসেল, মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি তানভীর চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি জহিরুল ইসলাম রাসেল, সহ সভাপতি কামরান আহমেদ ও মুহিবুর রহমান লিটন প্রমুখ।