বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পতনের পর তিনি আশ্রয় নেন প্রতিবেশি দেশ ভারতে।
শেখ হাসিনার পতনের বিষয়টি ভারতে শঙ্কা তৈরি করেছে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার মাঝে তিনি ছিলেন ভারতের সবচেয়ে বড় বন্ধু। খবর ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪’র।
ফ্রান্স-২৪ কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ভারতীয় লেখক সম্পাদক রাহুল ত্রিপাঠী বলেছেন, ‘ভারত সরকার শেখ হাসিনার ওপর অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছে আর বাংলাদেশের ওপর কম বিনিয়োগ করেছে। মূলত এ কারণেই দেশটি এখন এমন শঙ্কায় পড়েছে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘গভীর সম্পর্ক গড়ার জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয়ই তাদের নিজ দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণকে উপেক্ষা করেছেন।
এদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ব্যাপারে ভারত যে সতর্কতা দিয়েছে সেটিকেও ভণ্ডামি হিসেবে অভিহিত করেছে ফ্রান্স-২৪।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত জুন মাসে দেশে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ১৬ জুলাই যখন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ সারা দেশে ছয়জন নিহত হয় তখন আন্দোলনের তীব্রতা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে আন্দোলনটি রূপ নেয় সরকার পতনের ১ দফা আন্দোলনে। এরপর ৫ আগস্ট সোমবার শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতনের মাধ্যমে দেশ ছাড়েন তিনি।