ভারতকে ১২৮ রানে বিশাল ব্যাবধানে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপে আবারও শিরোপা ঘরে তুললো পাকিস্তান। বোলিংয়ে ছন্নছাড়া ভারত ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ব্যাটিংয়েও। বরং বড় লক্ষ্য তাড়ায় ইয়াশ ধুলের দলের রীতিমতো ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা! তাতে ব্যাটিংয়ে-বোলিংয়ে বাজিমাত করে ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখল পাকিস্তান।
রোববার (২৩ জুলাই) ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান ‘এ’ দল। জবাবে খেলতে নেমে ৪০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানে থামে ভারত ‘এ’ দল। ফলে ১২৮ রানের জয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপে আবারও শিরোপা ঘরে তুললো পাকিস্তান।
জবাব দিতে নামা ভারতের শুরু খারাপ হয়নি। ওপেনিং জুটিতে ৬৪ রান যোগ করে তারা। সুদর্শন ২৯ রান করে ফিরে যান। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৪০ ওভারে ২২৪ রানে অলআউট হয়েছে ভারত। দলটির হয়ে ওপেনার অভিষেক শর্মা সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া ইয়াশ ধুল ৩৯ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে আরশাদ ইকবাল, মেহরান মুমতাজ ও ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। সুফিয়ান মুকিম নিয়েছেন তিন উইকেট। এর আগে ভারতের হয়ে হাঙ্গারগেকার ও রায়ান প্রাগ দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক ইয়াশ ধুল। তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সেটিই যেন প্রমাণ করতে চাইলেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। দুই ওপেনার সাইম আইয়্যুব আর সাহিবজাদা ফারহান রান তুলেছেন ওভারপ্রতি ৭ এর কাছাকাছি গড়ে। সাইম আইয়্যুব কিছুটা আগ্রাসী হয়েই ব্যাট চালিয়েছেন পুরোটা সময়। ওপেনিং জুটিতে ১৭.২ ওভারে ১২১ রান যোগ করে তারা।
সাইমের আউট হলেও অন্য ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ছিলেন আরও কিছুটা সময়। তার ৬২ বলে ৬৫ রানের ইনিংসটি থামে রানআউটের কারণে। তিনে নামা ওমার ইউসুফও রান পেয়েছেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। এরপরেই যেন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। চার রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারায় তারা। দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান রিয়ান পরাগ।
কিন্তু এরপরেই ম্যাচে আবার হাল ধরে পাকিস্তান। ৬ষ্ঠ উইকেটে তৈয়ব তাহির আর মোবাসির খান যোগ করেন ১২৬ রান। ৭১ বলে ১২ চার এবং ৪ ছয়ে ১০৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাহির। মোবাসির খেলেন ৩৫ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।
শেষদিকে মেহরান মুমতাজের ১৩ আর মোহাম্মদ ওয়াসিমের ১৭ রানের ক্যামিওতে ৩৫২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। ভারতের হয়ে ২ টি করে উইকেট শিকার করেন রিয়ান পরাগ এবং রাজবর্ধন হাঙারগেকার।