ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩ তম আসরে অপ্রতিরোধ্যই ছিলো ভারত। সেমিফাইনাল পর্যন্ত কাউকে পাত্তাই দেয় নি রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। অপরাজিত থেকেই ফাইনালে আসে স্বাগতিক ভারত।
তবে ফাইনালে এসেই যেনো খেই হারায় ভারতীয় ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৪০ রানেই অল আউট বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইনআপ।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য মাত্র ২৪১ রানের লক্ষ্যটা মামুলিই বলা যেতে পারতো। তবে তুলনামূলক ছোট এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। মোহাম্মদ শামি-বুমরাহদের বোলিং তোপে ৪৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারা অজিরা। যেখান থেকে মনে হচ্ছিলো ভারতের হাতেই উঠতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ শিরোপা।
তবে ভারতের সে স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অজিদের চতুর্থ উইকেট জুটি। ওপেনার ট্রাভিস হেড আর পাঁচে নামা মার্নাস লাবুশেন। হেডের দুর্দান্ত শতক আর লাবুশেনের অর্ধশতকে ভারতকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলে নিলো অজিরা।
দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৩ বলে ৭ করে মোহাম্মদ শামির বলে খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ হন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৫ বলে ১৫ করে মিচেল মার্শ হন জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার। উইকেটরক্ষক নেন ক্যাচ।
এরপর মাত্র ৪ রান করে স্টিভেন স্মিথও বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউ হলে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। যদিও স্মিথ আউট ছিলেন না। বল বাইরে পিচ করেছিল। কিন্তু আম্পায়ার আউট দিলে আর রিভিউ নেননি স্মিথ।
এরপর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দলকে জয়ের একদম কাছাকাছি নিয়ে যান ট্রাভিস হেড আর মার্নাস লাবুশেন। এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৯২ রানের জুটির কাছেই হেরে যায় ভারত। এরমধ্যে ১২০ বলে ১৩৭ করেছেন ট্রাভিস হেড আর মার্নাস লাবুশেন অপরাজিত থাকেন ১১০ বলে ৫৮ । তবে জয় থেকে মাত্র ২ রান দুরে থাকতে মোহাম্মদ সিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শুভমান গিলের হাতে ধরা পড়েন ট্রাভিস হেড। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এসে পরের বলেই ডাবল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। ৪২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অজিরা।
এর আগে বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুলের লড়াকু ফিফটির পরও পুরো ৫০ ওভার খেললেও ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের ইনিংস।