বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে র্দীঘস্থায়ী সহযোগিতার অংশ হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সিম্পোজিয়াম অনুষ্টিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবষেণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (সিএসআইআর) সঙ্গে অংশীদারত্বে একটি যৌথ বৈজ্ঞানিক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে।
সিম্পোজিয়ামের বিষয়বস্তু ছিল ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য উন্নত র্কাযকরী এবং র্স্মাট উপাদান’।
অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এতে সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা।
হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে ভারত ও বাংলাদশেরে মধ্যে এস অ্যান্ড টি সহযোগিতার মূল্যকে তাদের উন্নয়ন অংশীদারত্বের একটি গুরুত্বর্পূণ মাত্রা এবং বৃহত্তর জাতীয় লক্ষ্য র্অজনে ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভিন্ন প্রতবিন্ধকতাসমূহের সমাধান খুঁজে পেতে একটি মূল অনুঘটক হিসেবে তুলে ধরেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যখন সমগ্র বিশ্ব উন্নত অর্থনীতির সারিতে যোগদান করতে আগ্রহী, সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ঘনষ্ঠি সম্পৃক্ততাকে উন্নীত করার মূল্য ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
হাই কমশিনার বলেন, আমাদের সহযোগিতা এমন সমাধান বয়ে আনতে পারে যা আমাদের সামাজিক প্রতিবন্ধকতাসমূহকে মোকাবিলা করে এবং আমাদের উন্নয়নমূলক আকাঙ্খা পূরণ করে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করবে।
এসময় তিনি এস অ্যান্ড টি সহযোগিতার ক্ষেত্রে উভয় দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের বৃহত্তর অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
জানা গেছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের ইন্সটিটিউট এবং গবেষণাগার গুলোর মধ্যে আন্ত:ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সিএসআইআর ভারত ও বিসিএসআইআর বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ভারত ও বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যপী এই যৌথ সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যামান বহুমুখী যৌথ সর্ম্পকের একটি স্বল্প-পরচিতি ক্ষেত্রে, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা হলো গুরুত্বর্পূণ একটি স্তম্ভ যা প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বাণিজ্যকীকরণেল পাশাপাশি তথ্য আদান-প্রদান, যৌথ প্রকল্প, সংলিষ্ট প্রধান বৈজ্ঞানিক সুবিধার ব্যবহার, সক্ষমতা বিকাশের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আয়োজনের অগ্রগতিকে অর্ন্তভুক্ত করে।
এই সিম্পোজিয়ামটির দর্শন হিসাবে জৈবিক বিজ্ঞান, খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ধাতুবিদ্যা, ন্যানো টেকনোলজি, চামড়াজাত পণ্য বিষয়ক প্রযুক্তি, মেট্রোলজি, পলিমার বিজ্ঞান ও ওষুধ আবিষ্কারসহ যৌথ আগ্রহের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে।