প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য দেওয়া উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন তাহিরপুর উপজেলার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গোপন নম্বর ভুলে যাওয়া, পূর্বের গোপন নম্বর কাজ না করা, নতুন করে পিন সেট-আপ ইত্যাদি কারনে এসব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা এসব সমস্যা সমাধানের জন্য নগদ এজেন্ট (উদ্যোক্তা) এর দোকানগুলোতে গিয়ে প্রতিদিন ভীড় করছেন। অনেকে সমস্যার সমাধান না পেয়ে বাড়ি ফিরছেন। কেউ কেউ সমস্যা সমাধানের জন্য নগদের কল সেন্টারে বারবার কল করে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাছাড়া তাহিরপুরে নগদ এর কোনো গ্রাহক সেবা কেন্দ্র না থাকাতে ভোগান্তি নিরসনে স্থানীয় পর্যায়েও কার্যকরী সমাধান কম মিলছে।
পাতারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনি পড়–য়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক তাসলিমা বেগম(২৭) জানান, উপবৃত্তির টাকা ঢুকছে শুনে ব্যালেন্স চেক করতে গেলে দেখি আগের পিন কাজ করছে না। একাধিকবার চেষ্টা করেছি। এখন একাউন্ট লক দেখাচ্ছে। অফিসে কল দিলে ঢুকেনা, বারবার কল কেটে আসে।
মানিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, একাউন্টের পিন নম্বর নতুন করে সেট করতে গেলে তা হচ্ছে না। পরে দোকানদারকে দেখালে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফিরিয়ে দিলেন। ভাবছিলাম টাকা তুলে মেয়েটার জন্য ঈদের কাপড় কিনব, কিন্তু তা আর হলো কই?
কাঁশতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম জানান, অনেক অভিভাবক বলছেন তাদের একাউন্ট এর গোপন নম্বর মিলছে না। অটোমেটিক পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাই টাকা উত্তোলন করতে সমস্যায় পড়েছেন। কেউ কেউ বলছেন টাকা আসেনি। তাদেরকে বলেছি, পর্যায়ক্রমে সবাই টাকা পাবেন।
উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে অনেকের নগদ একাউন্ট এর গোপন নম্বর অটোমেটিক কেন পরিবর্তন হল এর কারণ জানা নেই বলে জানিয়েছেন নগদের সুনামগঞ্জের সেলস ডিস্ট্রিবিউটর এর দায়িত্বে থাকা ক্রোন ডিস্ট্রিবিউসন এর জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক। তবে তিনি জানিয়েছেন, পিন ভুলে গেলে বা টাকা উত্তোলনে কোনো সমস্যা হলে শুধু মোবাইল(একাউন্ট)নম্বরটা নগদের এজেন্ট (উদ্যোক্তার) এর মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিলে আমরা এর সমাধান করে দিচ্ছি। এবং এ ব্যাপারে সকল উদ্যোক্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।