গতবছর সিলেট ভয়েসে নিউজ প্রকাশের পর চলতি বছর এপিএ মূল্যায়নে তলানি থেকে শীর্ষে দ্বিতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর ৯৭ দশমিক ৯১ স্কোর পেয়ে এ অবস্থান লাভ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
যেখানে গতবছর ৩৬তম অবস্থানে ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরপর এ নিয়ে গত বছর ৫ অক্টোবর ‘ইউজিসি’র এপিএ মূল্যায়নে তলানিতে শাবি’ শিরোনামে সিলেট ভয়েসে নিউজ প্রকাশিত হয়। নিউজ প্রকাশের পর তৎপর হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এপিএ কমিটির প্রায় সকল শর্ত পূরণ করার লক্ষ্যে কাজ করেন সংশ্লিষ্ট সবাই। ফলে এবছর তলানি থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আওতাধীন দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডগুলোকে ছয়টি ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন করে এপিএ র্যাংকিং প্রকাশ করেছে ইউজিসি।
ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহে ৭০, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় ১০, ই-গভর্ন্যান্স/উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনায় ১০, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কর্মপরিকল্পনায় ৪, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনায় ৩, তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনায় ৩ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এ র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়। এতে শতকরা ৯৭.৯১ স্কোর করে র্যাংকিয়ের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে শাবিপ্রবি।
এ বিষয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, গতবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সমস্যার কারণে এপিএ মূূল্যায়নে একটু পিছিয়ে ছিলাম। তবে এবার ইউজিসির নির্ধারিত সব কাজ সম্পাদন করে আমরা শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছি। এর পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলের অবদান ছিল। এ ধারাবাহিকতা থাকলে আশাকরি আগামীতে আমরা প্রথম হব। পরিশেষে এপিএ কমিটির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।