ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিসিক শিল্পনগরীর উদ্যোক্তারা। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদনে নেমেছে ধস। এভাবে চলতে থাকলে উৎপাদন বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবেনা বলেন জানিয়েছেন উদ্যোক্তাগণ। দ্রুত বিদ্যুৎ পরিস্থিতির স্বাভাবিক করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান তারা।
সোমবার এক বিবৃতিতে সিসিক শিল্প মালিক সমিতি গোটাটিকর এর সভাপতি কাজী মঈনুল হোসেন ও সেক্রেটারী আলীমুল এহছান চৌধুরী বলেন, গোটাটিকর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় কোল্ড স্টোরেজ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক শিল্পসহ বিভিন্ন ধরণের প্রায় ৪৫টি শিল্প কারখানা রয়েছে। প্রতিদিন সেখানে চলছে উৎপাদন কার্যক্রম। এসব কারখানায় প্রায় ২৫০০ জন শ্রমিক কর্মরত আছেন। বিগত ১ সপ্তাহ থেকে উক্ত শিল্পনগরী এলাকা ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে। আগে যেখানে সারা মাসে ১৫-২০ ঘন্টা লোডশেডিং হত। সেখানে এখন দৈনিক ৪-৫ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যবস্থা মারাত্নক ব্যাহত হচ্ছে ও প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার কারনে প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকঠাক মতো শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দিতে পারছে না। এছাড়া ব্যাংক লোনের টাকায় নির্মিত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে নিয়মিত লোন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। সরকার নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্সের অর্থ পরিশোধ করা দিন দিন অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলি, প্রধান প্রকৌশলীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এমন অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে কারখানাগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হবে, বাজারে অস্তিরতা বিরাজ করবে, শিল্প কারখানার মুনাফার উপর চাপ পড়বে, আয়- প্রবৃদ্ধি ও সরকারি আয়-রাজস্ব প্রাপ্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই উক্ত অবস্থার উন্নয়ন একান্তভাবে প্রয়োজন। এজন্য অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।