লিটন দাস ও রনি তালুকদার করলেন শুরুটা। মাঠের সবদিকজুড়ে থাকলো তাদের শট খেলার ছাপ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ঝাঁজ থাকলো পুরো ইনিংসজুড়েই। পাওয়ার প্লেতে রেকর্ড হলো, বাংলাদেশ রান করলো এরপরও। আয়ারল্যান্ডের সহজ বোলিংয়ের বিপক্ষে ব্যাটাররা থাকলেন উজ্জ্বল। শেষ ওভারের শুরুতে বৃষ্টি বাধার আগে এলো দুইশ ছাড়ানো ইনিংস।
সোমবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বৃষ্টি নামার আগে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা, যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আরও ৪ বল হাতে ছিল। ২০১৮ সালের ১০ মার্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান করেছিল টাইগাররা; সেই রেকর্ড অক্ষত রয়ে গেল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসা হ্যারি ট্যাক্টরকে চতুর্থ বলেই ছক্কা হাঁকান লিটন দাস। ওই ওভারে ১১ রান নেয় স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বাংলাদেশ নেয় ৮১ রান। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এটি। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩ সালে ৭৬ রান আসে।
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় ইনিংসের অষ্টম ওভারে এসে। ক্রেইগ ইয়াংয়ের বল মিড অফ দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে পল স্টার্লিংয়ের হাতে সহজ ক্যাচ দেন লিটন দাস। ৪ চার ও ৩ ছক্কার দারুণ ইনিংসে ২৩ বলে ৪৭ রান করেন লিটন। এই রান করার পথে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম ১৫০০ রানের রেকর্ড।
লিটনের উদ্বোধনী সঙ্গী রনি তালুকদার পেয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৭ রান করেন গত সিরিজে ক্যারিয়ারে নতুন জীবন পাওয়া এই ব্যাটার। গ্রাহাম হিউমের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর ক্রিজে এসে নিজের ইনিংস খুব লম্বা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।
১৩ বলে ১৪ রান করে এই ব্যাটার আউট হন। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি হয় শামীম হোসেন পাটোয়ারীর। এই ব্যাটার চার নম্বরে নেমে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ৩০ রান করেন। ৮ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশের রান দুইশ ছাড়ায় শেষদিকে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিংয়ে। ৩ চারে ১৩ বলে ২০ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার চার বল আগেই নেমে আসে বৃষ্টি। খেলা বন্ধ হওয়ার পর বাংলাদেশ আর মাঠে নামেনি।