বিশ্বনাথে ১০ পরিবারকে ঘরবন্দি করার অভিযোগ

সিলেটের বিশ্বনাথে চলাচলের রাস্তায় জোরপূর্বক প্রবাসী পরিবার ফটক নির্মাণ করায় অপর প্রবাসী পরিবারসহ ১০টি পরিবারের শতাধিক লোকজন এখন ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এমন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার মৌলভীরগাঁও গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. জামাল আহমদ।

তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একই গ্রামের মৃত জয়ফর আলীর ছেলে ছাব্বির আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম ও গ্রামের মুরব্বী সিরাজ আলী।

লিখিত বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, মৌলভীরগাঁও গ্রামের ওই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জামাল আহমদ গং ও একই বাড়ির মৃত ছিদ্দেক আলীর ছেলে প্রবাসী কয়ছর মিয়া এবং মফিজ আলীর ছেলে প্রবাসী মবুর মিয়ারা চলাফেরা করে আসছেন। সম্প্রতি কয়ছর মিয়া ও মবুর মিয়া রাস্তায় ফটক নির্মাণ করে চলাচলের বাধা সৃষ্টি করেন। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে জামাল আহমদদের নিষেধ দেন তারা। প্রতিনিয়ত গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা ওই পরিবারগুলোকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন। এ নিয়ে সম্প্রতি বিচার-সালিশ করলেও তা মানেননি কয়ছর মিয়া ও মবুর মিয়া। পরে বিশ্বনাথ থানার পুলিশ এ দ্বন্দ্ব নিরসনে আপসের জন্য রাস্তা দিয়ে উভয়েই চলাফেরা করতে পারবেন আর ফটক নির্মাণ করা হলে কারও নাম দেয়া যাবে না শর্তে স্মরণলিপি করে। কিন্তু পুলিশের এই স্মরণলিপি উপেক্ষা করে ফটকে নিজেদের নামের ফলক স্থাপন করেন কয়ছর মিয়া ও মবুর মিয়ার পক্ষ। এমনকি জামাল আহমদের পক্ষের মালিকাধীন ক্ষেতের ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায় কয়ছর মিয়া ও মবুর মিয়ার পক্ষ। এ বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও উল্লেখ করেন, কয়ছর মিয়া ও মবুর মিয়া একে আপরের চাচাতো ভাই। তারা ও তাদের ভাই-ভাতিজারা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। তাদের নামে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, চুরি, ডাকাতিসহ প্রায় ৮টি মামলা রয়েছে। এমনকি মবুর মিয়ার ভাইয়ের একটি মামলায় কয়ছর মিয়া ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক ছিলেন। এখন জেল কেটে এসে এলাকায় প্রভাব বিস্তারে নানা অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছেন। কয়ছর মিয়া ও মবুর মিয়াদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা ওই রাস্তা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে কয়ছর মিয়া ও মবুর মিয়াদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঠিক বিচার দাবি করেন।