সিলেটের বিশ্বনাথে মাংস এবং চামড়াবিহীন, হাড়গোড় এলোমেলো অবস্থায় মানবদেহের একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের পুরান সৎপুর এলাকার রাজার বাজার থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রাজার বাজারের পশ্চিম পাশে কবরস্থানে গাছপালা/ঝোপঝাড়ের ভেতরে একটি শেওড়া গাছের নিচে একটি মানবদেহের কঙ্কালের হাড়গোড় এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে; এমন সংবাদ পায় পুলিশ। বিষয়টি সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনকে অবহিত করা হলে তিনি পুলিশকে কঙ্কালটি যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এর প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কঙ্কালের আশপাশে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে পাশে থাকা একটি জ্যাকেট, এক জোড়া স্যান্ডেল এবং কোমড়ে বাঁধা কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে অন্যান্য কাগজের সাথে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে পুলিশ জানতে পারে কঙ্কালটি মো. সেবুল মিয়া নামের এক ব্যক্তির। তার বাবার নাম আশ্বদ আলী ও মায়ের নাম নেছা বিবি। বাড়ি বিশ্বনাথের পুরান সৎপুর এলাকায়।
বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে অবহিত করলে মো. সেবুল মিয়ার ভাগ্নে ছয়ফুল (৩৩) ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা স্যান্ডেল, জ্যাকেট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে কঙ্কালটি মো. সেবুল মিয়ার বলে শনাক্ত করেন।
সেবুলের ভাগ্নে ছয়ফুল এবং বড় ভাই ফারুক মিয়াসহ স্থানীয় লোকজন জানান, সেবুল মিয়া অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন এবং নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন স্থানে নিরুদ্দেশ হয়ে যেতেন। আনুমানিক দুই মাস পূর্বে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে তিনি আরও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যান। এক পর্যায়ে এলাকায় আর তাকে দেখা যায়নি।
সিআইডি এবং পিবিআই, সিলেটের ক্রাইম সিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ নমুনা সংগ্রহ করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিশ্বনাথ থানার এসআই মো. শাহপরান মোল্লা মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ এবং ডিএনএ প্রোফাইল সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।