মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী ও অত্যাচারের অতিষ্ঠ হয়ে নিজ প্রবাসী চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলার নরশিংপুর গ্রামের দিনমজুর শায়েস্তা মিয়া।
গতকাল বুধবার বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী শায়েস্তা মিয়া জানান, তার পিতার সৎ ভাই ইব্রাহিম মিয়া দীর্ঘ ১৫বছর ধরে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি, অত্যাচার নির্যাতন করে আসছেন। গত জানুয়ারি মাসে লন্ডন থেকে এসে বাড়ির চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দেয়াল ও গেইট নির্মাণ করে বন্ধ করার প্রস্তুতি নেন। এ নিয়ে গ্রাম্য মুরব্বিরা চাচা ইব্রাহিম মিয়াকে বাঁধা দিলেও তিনি কথা না শোনায় ভোক্তভোগী শায়েস্তা মিয়া আদালতে ১৪৪ ধারা চেয়ে মামলা করলে আদালত, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। এতে ইব্রহিম মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওসমানী নগর থানার খাইয়া খাইড় গ্রামের ইরন মিয়াকে দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা আদালতে দায়ের করেন। আদালত এয়ারপোর্ট থানাকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন যার ফলে এ মামলা ভোক্তভোগীর বড় ভাই নজির মিয়া জেল হাজতে রয়েছেন।
শায়েস্তা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ইরন মিয়ার সাথে তাদের কোন পরিচয় বা বিরোধ নেই। টাকার বিনিময়ে সে এই সাজানো মামলা দায়ের করেছে বলে জানতে পেরেছি। এক পর্যায়ে গত ১৮ মে তার ভাই নজির মিয়া জেলে থাকার সুযোগে চাচা ইব্রাহিম মিয়া ৪০-৫০জন স্থানীয় লোকজন এনে তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও তার পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করান। ইব্রাহিম মিয়া ও তার লোকজনের ভয়ে এখন আমরা ঘর-বাড়ি ছাড়া। আহতদের ভালো করে চিকিৎসাও দিতে পারছি না। বড় ভাই নজির মিয়ার মুক্তির দাবি ও সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্শন করেছেন ভুক্তভোগী শায়েস্তা মিয়া।
এক প্রশ্নের জবাবে শায়েস্তা মিয়া জানান, চাচা ইব্রাহিম মিয়া ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দু্ইটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালত তা খালাস দিয়েছেন।