টাকা আত্মসাতসহ অন্তত তিনটি মামলা করা হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এসএম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে একটি মামলা সাইবার আইনে করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে নুনু মিয়াকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও শ্রমিক নেতা মো. ময়না মিয়া (মামলা নং-১৭১/২৩)। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
একইদিন সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতে এসএম নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়ার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের আরেকটি মামলা করেন যুবলীগ নেতা রাজন আহমদ অপু, (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৩৩৮/২৩)। মামলায় দুই আসামির মধ্যে প্রধান আসামি রাখা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যানের পিএস দবির মিয়াকে (৩৫)। আর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়াকে ২য় আসামি রাখা হয়েছে। এ মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
এরআগে গত ২২ আগস্ট সরকারি বরাদ্দের নামে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুনু মিয়া ও তার পিএস দবিরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জামাল আহমদ নামের এক ভুক্তভোগী, (সিআর মামলা নং ৩১৬/২৩)। মামলাটি সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান পিপিএম’র নিকট তদন্তনাধীন।
এদিকে, গত ৩০ আগস্ট পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মো. নুরুল হক। বিশ্বনাথের এই দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা ও দুজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
এই দ্বন্দ্বকে ঘিরে তাদের পক্ষালম্বন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে। আর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ঘরানার এই দুই জনপ্রতিনিধির দ্বন্দ্ব একটি অশুভ লক্ষণ মনে করছেন সচেতন মহল। এমনকি তাদের এই দ্বন্দ্ব এখন সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, বিশ্বনাথে আমার মাধ্যমে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন দেখে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে আইনী লড়াইয়ে মামলাগুলোর জবাব দেয়া হবে।