মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৪৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ২৯ হাজার ১৫৯ জন। আগের দিন মারা গেছেন ৯৯২ জন ও সংক্রমিত হন ২ লাখ ৪০ হাজার ১৭৩ জন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৩ জনে। আর বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৭ জনে। এসময়ে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬২ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ২৬২ জন।
বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে জাপানে। আক্রান্তের দিক থেকে তালিকার ৭ নম্বর থাকা দেশটিতে এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪২২ জন ও মারা গেছেন ১৫৩ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৯ হাজার ৪৩৪ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ কোটি ৬৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৪ জন।
দৈনিক সংক্রমণের দিক দিয়ে জাপানের পরই ফান্সের অবস্থান। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হন ৯১ হাজার ৮১৪ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪১৭ জন, মারা গেছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৯ জন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১ লাখ ৫ হাজার ৪৯ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৬৭। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জন। সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯৯ জন।
তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে— ভারত, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইতালি, তুরস্ক, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ইরান ও কলম্বিয়া। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪৭ নম্বরে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৭ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৩৩ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পরের বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।