আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে গত সেপ্টেম্বর মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। কিন্তু খেলা পাঁচ মিনিট না গড়াতেই আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে করোনা প্রটোকল ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের লড়াই বন্ধ করে দেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেই ম্যাচের মীমাংসা এখনো না হলেও সুখবর দিয়েছে ফিফা।
ফিফার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার স্থগিত হয়ে যাওয়া ম্যাচটি খেলতে হবে তাদের। শুধু তাই নয়, গত বছরের ম্যাচটি যেহেতু ব্রাজিলের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাই তাদেরকেই ঠিক করতে হবে কোথায় ম্যাচটি খেলবে তারা।
এজন্য আগামীকাল বুধবার (২২ জুন) এর মধ্যে ভেন্যু ঠিক করে ফিফা ও আর্জেন্টিনাকে জানাতে হবে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ)। তবে ঝামেলা এখানেই শেষ নয়, ব্রাজিলের প্রস্তাবিত ভেন্যুকে লিওনেল মেসিরা ইতিবাচক সিগনাল দিলেই কেবল চূড়ান্ত করা যাবে।
ব্রাজিল এরই মধ্যে তিনটি ভেন্যুর কথা চিন্তা করেছে। প্রথমত ইউরোপের কোনো মাঠে। যাতে করে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের আগে-পরে অন্য কোনো দলের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচও খেলতে পারে তারা। এটি সম্ভব না হলে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রে খেলার কথা ভাবছে ব্রাজিল।
আর এ দুইটির কোনোটিই না হলে নিজেদের দেশেই ম্যাচটি আয়োজন করবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এক্ষেত্রে অবশ্য অন্য কোনো দলের বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলা সম্ভব নাও হতে পারে। কেননা আর্জেন্টিনার সঙ্গে আরেকটি দলকে স্বাগত জানানো বেশ কঠিনই হবে ব্রাজিলের জন্য।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সোমবার বৈঠকেও বসেছিল সিবিএফ। তবে বৈঠক থেকে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি। ফলে ধারণা করা যাচ্ছে, আর্জেন্টিনা ও ফিফাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল জানালেই বোঝা যাবে, শেষ পর্যন্ত কোন মাঠে সুপার ক্লাসিকো ম্যাচটি হতে পারে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বিচারে এ ম্যাচটি অবশ্য গুরুত্বহীন। কেননা এরই মধ্যে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন অঞ্চলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত ব্রাজিলের। দুইয়ে থাকা আর্জেন্টিনাও ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের অবস্থানে পাকাপোক্ত। তাই মূলত দুই দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই খেলা হবে ম্যাচটি।