দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে জুটি গড়েন ডি কক ও ফন ডাসেন।
৬১ বলে অর্ধশতক করা কুইন্টন ডি কক সেঞ্চুরি করেন ৮৩ বলে। বিশ্বকাপে ১৮ ইনিংসে তার প্রথম সেঞ্চুরি এটি। ২০১৫ আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সিডনিতে অপরাজিত ৭৮ ছিল আগের সেরা। শতক ছোঁয়ার পরই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ডি কক। ১০৩ বলে শতক ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফন ডাসেনও। তবে তখনো খেলার অনেক রোমাঞ্চ বাকি।
ডি ককের বিদায়ের পর ৩১তম ওভারে উইকেটে যান মারক্রাম। ৪৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি ঝড় বইয়ে দেন শ্রীলঙ্কার বোলারদের ওপর। লঙ্কান বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে সেঞ্চুরি করেন মাত্র ৪৯ বলে। ২০১১ আসরে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েনের ৫০ বলে শতকের রেকর্ডটি ভেঙ্গে সেখানে লিখে দিলেন নিজের নাম।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ম্যাচ শুরুর আগে দুপুর ২টায় দিল্লিতে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে প্রোটিয়ারা। আর ব্যাট করতে নেমেই যেনো রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন ব্যাটাররা। তিন সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা দলীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৫ আসরে পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৪১৭ রান ছিল সর্বোচ্চ।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়ান মাত্র ৫০ বলে দ্রুততম শতরান করেন।