বিশ্বকাপের ম্যাচ শুরু করেছিলেন রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্য নিয়ে। আর দুই গোল করলেই পেলের সমান ৭৭ গোলের মালিক হতে পারতেন নেইমার। তার দল সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে পেয়েছে দারুণ জয়ও। কিন্তু দিনশেষে শঙ্কায় সেলেসাঁওদের প্রাণভোমরা নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র।
ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত ছিলেন মাঠে। ওঠার সময় ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল সেলেসাঁওরা। তবুও মাঠ থেকে কী আর উঠতে চান নেইমার? কিন্তু বাধ্য হয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। কারণ, ডান পায়ের গোড়ালিতে পেয়েছেন ব্যথা। দ্বিতীয়ার্ধে তাকে একাধিকবার সার্বিয়ান ফুটবলারদের ফাউলের শিকার হতে হয়েছে। গোটা ম্যাচে মোট ৯ বার ফাউলের শিকার হন তিনি।
এর মধ্যে নিকোলা মিলানকোভিচের ফাউলটি ছিল সবচেয়ে সর্বনাশা। মাঠ ছাড়ার সময় দেখা যায় অনেকটাই বিষণ্ন নেইমার। চোখে ছিল জল। এরপর ম্যাচ শেষে বিভিন্ন ফুটেজে দেখা যায় তার ডান পায়ের গোড়ালি ফুলে গেছে তার।
ব্রাজিলের টিম চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই ব্যথা নিয়ে নেইমার শেষ ১১ মিনিট মাঠে খেলা চালিয়ে গেছেন। যা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্য। তবে ইনজুরি নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না তারা। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে এই ইনজুরি সেরে উঠতে। তবে সেটি ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় থাকবে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
তবে কোচ তিতে জাগাচ্ছেন আশার আলো। জানিয়েছেন, নেইমারের ইনজুরি যতটা খারাপ দেখাচ্ছে ততটা নয়। দ্রুতই সেরে উঠবেন নেইমার, বিশ্বকাপেও খেলবেন।
বিশ্বকাপে নেইমারের ইনজুরি ভাগ্য অনেক খারাপ। এর আগে, ২০১৪ সালের ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের আগে ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যেতে হয়েছিলো তাকে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও ছিলেন না পুরো ফিট। এমনকি এ বছরের শুরুতেও লম্বা সময় ইনজুরিতে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই সেনসেশন।
সোমবার রাতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এরপর ২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে ক্যামেরুনের বিপক্ষে।