সিলেট ভয়েসে সংবাদ প্রকাশের পর বিয়ানীবাজারের তিলপাড়া ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের সরকারি ঝরাপাতা খালে নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি খালে দোকান নির্মাণ করছিলেন ওই এলাকার মৌর উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। অবশেষে রোববার সকাল ১১টায় স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে খামারের জন্য নির্মিত পাকা ভবন ভেঙে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তার। এসময় তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বিয়ানীবাজার থানার একদল পুলিশ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করে।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য আনা মিয়া, খয়রুল ইসলাম ও হোসেন আহমদ, লাউতা ইউপি ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শ্যামল সিংহ, তিলপাড়া ইউনিয়ন বিট পুলিশিং অফিসার এসআই অঞ্জন কুনার দেব, তিলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ফরহাদ হোসেন টিপু, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার জামাল হোসেন ও চেইনম্যান আব্দুল ওয়াদুদ, ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান, সমাজকর্মী জাকির হোসেন ও শাকির আহমদ প্রমুখ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে সরকারি খালে স্থাপনা নির্মাণ করতে বাধা দেওয়া হলেও তা অমান্য করে খালের ৮০ শতাংশ অংশ দখল পাকা ভবন নির্মাণ করছিলেন তিলপাড়া ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের মৌর উদ্দিন ও তার পরিবারবর্গ। গত মঙ্গলবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মৌর উদ্দিন ও তার পরিবারকে খালের অংশে স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা দিলেও অভিযুক্তরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করেনি। পরে ওইদিন বিকালে সরেজমিনে গিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা ভূমি অফিস ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ মৌর উদ্দিনকে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন এবং শনিবার বিকালে মধ্যে পাকা ভবন সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। পরদিন ১ মার্চ জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট ভয়েস- এ ‘বিয়ানীবাজারে প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে খাল দখল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়া জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনিক নির্দেশ উপেক্ষা করার অভিযোগে রোববার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তার বলেন, যদি ভবিষ্যতে সরকারি খালে আবারও কেউ স্থাপনা নির্মাণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।