বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ দুপুর ২টার দিকে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের প্রধান ফটক সংলগ্ন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে কলেজের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে আসে এবং আশাপাশ লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
মারধরের শিকার শাহীনুর রহমান কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও উপজেলা ছাত্রদল নেতা। তিনি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিছবাহ গ্রুপের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কলেজের প্রধান ফটকের রাস্তার বিপরীত পাশ থেকে শাহীনকে জোরপূর্বক ক্যাম্পাসের ভেতরে এনে বাঁশ ও লাঠি—সোঠা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মারধরের ফলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় ও রক্ত পড়তে থাকে। পরে তাকে কলেজের নিরাপত্তাকর্মীরা উদ্ধার করে বাহিরে নিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশ ব্যবসায়ীরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
মারধরের শিকার শাহীন বলেন, আমি সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য বিভাগে গিয়েছিলাম। আমাকে দেখে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ধাওয়া করে। উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল হক রুনুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুল, মামুন, সুপ্ত, ইয়াসিন, জুয়েল প্রমুখ আমি ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পরও তারা আমাকে জোরপূর্বক ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে।
হামলার বিষয়ে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ বলেন, দিন দিন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্যাডাররা তাদের পেশিশক্তির জানান দিতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী শাহীনুর রহমানের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা অবিলম্বে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনবো।