জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। দেশ জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশের সিপাহি-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করেছিল। ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব ছিল স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ। এই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব শৃংখলমুক্ত করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের বাকশা প্রতিষ্ঠার কলংকজনক ইতিহাসকে আড়াল করতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসটি বাতিল করে। শুধু তাই নয়, তারা এই ইতিহাসকে বিকৃত করে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে আওয়ামী লীগ দেশে বিভক্তির রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা টানা ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্রকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে তারা একের পর এক গণহত্যা চালিয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষ আবার প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ খুজে পেতে শুরু করেছে। এই বিজয়কে অর্থবহ করতে দেশপ্রেমিক জনতাকে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ৭ নভেম্বরের প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সন্ত্রাস, দুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনে জামায়াত তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বৃহস্পতিবার ( ৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট আব্দুর রব, ড. নুরুল ইসলাম বাবুল ও জাহেদুর রহমান চৌধুরী, জেলা উত্তর জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, শিক্ষাবিদ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শাকুর, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত, মাওলানা মুুজিবুর রহমান, মু. আজিজুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
নেৃতৃবন্দ বলেন, দেশ ও জাতির প্রেক্ষাপটে ৭ নভেম্বর একটি ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী শাসকচক্র আমাদেরকে আমাদের ইতিহাস জানার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ মুক্ত এই দেশ, জাতিস্বত্ত্বা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশপ্রেমিক জনতাকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।