বিদেশে থেকেও মামলার আসামী হয়েছেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ইকবাল হোসেন (২৪) নামের এক যুবক। তিনি উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের মৌলারপাড় গ্রামের রিপন মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট দুপুরে বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলোনী গ্রামের আব্দুল আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম রাব্বী এবং মৌলার পাড় গ্রামের মৃত হাজী ইছকন্দর আলীর পুত্র নিজাম উদ্দিনের মধ্যে সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়কে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রফিকুল ইসলাম রাব্বী এই ঘটনায় নিজাম উদ্দিন ও তার আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে দোয়ারা বাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং ১৩/১৩১)। মামলায় এজহারভুক্ত ১২ নম্বর আসামী করা হয় প্রবাসী ইকবাল হোসেনকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলারপাড় গ্রামের রিপন মিয়ার পুত্র ইকবাল হোসেন চলতি বছরের ২৫ জুন জীবিকার তাগিদে দুবাই চলে যান। এর প্রায় দুই মাস পর ঘটা সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় তার নাম দেখে অবাক সবাই।
একই মামলার আসামী ইকবাল হোসেনের আপন চাচা মৃত সফর আলীর পুত্র ফজলুর রহমান (৩৫) বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের দিন আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাকে মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জড়ানো হয়েছে। অথচ ওইদিন আমি ব্যবসায়িক কাজে ছাতকে ছিলাম। আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন পেয়েছি। তারা শুধু আমাকে মামলায় জড়িয়ে ক্ষান্ত হয়নি সাথে প্রবাসে থাকা আমার এক ভাতিজাকে এই মামলার এজহার ভুক্ত আসামী করেছে। আমরা এই হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে চাই।’
প্রবাসী ইকবাল হোসেনের পরিবার জানায়, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আল আমিন মামলার বাদীকে ইন্ধন দিয়ে প্রবাসে থাকা স্বত্ত্বেও মামলায় ইকবাল হোসেনকে জড়িয়েছে এবং আমাদের পরিবার পরিজনকে অহেতুক হয়রানি করছে। আমরা এখন তাদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।’
প্রাবসী ইকবাল হোসেন ও তার পরিবারকে জড়িয়ে মামলার করার বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাইলে মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম রাব্বী বলেন, ‘নিজাম উদ্দিনের চোরাই মালের খবর নাকি আমি বিজিবিকে দিয়েছি এর জেরে নিজাম উদ্দিন ও তার লোকজন আমাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। প্রবাসী ও তার পরিবারের লোকজন নিজাম উদ্দিনের কোনো আত্মীয়স্বজন নয় কিন্তু তারাও সীমান্তের চোরাকারবারের সাথে জড়িত রয়েছে। তবে ইকবাল হোসেনকে মামলায় জড়ানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। একথা বলেই তিনি মোবাইল কল কেটে দেন।’
বিদেশে থাকা ব্যাক্তিকে কিভাবে এজহারভুক্ত করা হলো এবিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বদরুল হাসান বলেন, ‘বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী মামলা এজহারভুক্ত করা হয়েছে। কেউ যদি প্রবাসে কিংবা ওই ঘটনায় জড়িত না থাকে তা খতিয়ে দেখে আইনি প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হবে।