বিকাশ প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন গ্রামের এক নারী। বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে অন্যজনের ফোন নাম্বার ও জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে প্রতারক চক্র লোকজনের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর বিপদে পড়ছেন ঐ ভোক্তভোগী নারী।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাশে লেনদেন সংক্রান্ত জিঙ্গাসাবাদের জন্য গৃহবধূ মোছা. ফাতেমা বেগমের নামে ঢাকার মিরপুর থানা থেকে একটি নোটিশ আসে জাওয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে।
নোটিশে উল্লেখ রয়েছে, নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্য দিবসের মধ্যে বিকাশ পারসোনাল বিকাশ নাম্বার ও লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে মিরপুর থানায় হাজির হওয়ার জন্য। মিরপুর থানার মামলা নং জিআর-৭৫৫ এই মামলার তদন্তের জন্য জিঙ্গাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এই প্রতারণার মামলাটি বিগত ২০২২ সালের ৪ নভেরম্বর দুপুর ১২ টার সময় দায়ের করা হয়। কিন্তু এতো দিন পর্যন্ত কিছুই জানতেন না ভোক্তভোগী ফাতেমা। আজ হঠাৎ জানতে পারেন তার নামে নোটিশ এসেছে। কিন্তু কি ভাবে তার নাম্বার দিয়ে তিনি সুনামগঞ্জ জেলার জাওয়া বাজারে থাকা অবস্থায় ঢাকায় প্রতারণা হল তার কিছুই জানেন না। বিকাশ থেকে তিনি স্বাভাবিক ভাবেই তার ছোটখাটো লেনদেন সব সময় করেছেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তভোগীর স্বামী কামারখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুজ্জামান জানান, এই বিকাশ পারসোনাল নাম্বারটি আমার স্ত্রী’র নামে করা। কিন্তুু প্রতারকরা এই নাম্বার কি ভাবে ব্যবহার করেছে কিছুই বুঝতে পারছি না। এই বিকাশ অ্যাকাউন্টে অস্বাভিক লেনদেন হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমরা গ্রামের মানুষ গ্রামেই থাকি। আমার স্ত্রী তো কোনও দিন সিলেটের বাইরেই যান নি। তা হলে আমরা কি ভাবে ঢাকার প্রতারণার সাথে যুক্ত হব। আমি বিকাশ অফিসে গিয়ে লেদেনের কাগজপত্র তুলে পরবর্তী সিদ্বান্ত নিবও কি করা যায়। আমরা গ্রামে থেকেও যদি এভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় তা হলে তো বিকাশ ব্যবহার করা বন্ধ করা আর আমাদের উপায় নেই। বাড়তি হয়রানির মধ্যে পড়ে গেছি।
জাওয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) রিপন জানান, আমাদের ফাড়িতে বিকাশ সংক্রান্ত দুটি নোটিশ এসেছে ঢাকার মিরপুর থানা থেকে। কিন্ত কেন তাদের নোটিশ করা হল এ ব্যাপারে কিছুই জানা নেই আমার।
ঐ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জুলফিকারুল ইসলাম জানান, প্রতারকরা তাদের ছবি এনআইডি ব্যাবহার করে প্রতারণা করেছে। তাদের এই নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাদেরকে জিঙ্গাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। তারা ঐ ধরণের কাউকে চেনেন কি না তা জানার জন্য ডাকা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য তাদের ডাকা হয়েছে।