বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেছে কানাডার আদালত। এ নিয়ে কানাডার আদালতে পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো।
মোহাম্মদ জিপসেদ ইবনে হক নামে বিএনপির এক কর্মী দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে তা নাকচ করে দেয় দেশটির ফেডারেল কোর্ট।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, ওই ব্যক্তি এমন দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যে সংগঠন বল প্রয়োগ ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে।
সবশেষ ১৫ জুন একটি জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন নিষ্পত্তিকালে কানাডার আদালতের বিচারক বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেন। বিএনপির ওই কর্মীর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নাকচ করে দেয়ার বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল রিভিউটি দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার উল্লেখ করে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন মোহাম্মদ জিপসেদ ইবনে হক। সেই রায় রিভিউতে দেশটির ফেডারেল কোর্টের রায়ে উল্লেখ রয়েছে, আবেদনকারী ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবী দলের সদস্য ছিলেন। কানাডার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বিএনপিকে এমন একটি সংগঠন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পেয়েছে যারা বল প্রয়োগ এবং নাশকতায় জড়িত থেকে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেছে।
ফেডারেল কোর্টের এই রিভিউয়ের মানদণ্ড হিসেবে ২০১৮ সালে মাসুদ রানা ও ২০২২ সালে সেলিম নামে বিএনপির অপর দুই কর্মীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রার্থনা নাকচ করে দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সে সময়ও বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে ওই দুই বাংলাদেশির রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রার্থনা বাতিল করা হয়।
এর আগে ২০১৭ সালে মোহাম্মাদ জুয়েল হোসেন গাজী নামে ঢাকার মিরপুরের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মীর কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হওয়ার পর ফেডারেল কোর্টে এই রিভিউর আবেদনে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন অভিধা দেয়া হয়।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বিএনপির কর্মী হিসেবে মো. মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যক্তি আশ্রয় চাইলে দ্বিতীয় দফায় বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সে বছরের অক্টোবরে মাসুদ রানা ও এরপর ২০২২ সালে ছাত্রদল কর্মী সেলিম বাদশার অভিবাসন আবেদন নাকচ করার সময়ও বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করে কানাডার আদালত।