ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে শুধু লা লিগাতেই গোল লাইন প্রযুক্তি নেই। কেন? গত বছর মে মাসেই জানিয়েছেন লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস। বলেছেন, গোল লাইন প্রযুক্তি ব্যয়বহুল। ওদিকে গত অক্টোবরে তেবাসের বাৎসরিক বেতন বাড়িয়ে ৫৪ লাখ ইউরো করার প্রস্তাবে স্পেনের প্রায় ৪০টি ক্লাবের ভোট দেওয়ার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
সে যা হোক, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর এল ক্লাসিকোতে ৩-২ গোলে হারের পর গোল লাইন প্রযুক্তির অনুপস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ করতে পারেন বার্সার সমর্থকেরা। বলতে পারেন, যে প্রযুক্তি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগ লিগে আছে, সেটা ব্যবহার করতে না পারলে আর শীর্ষ পাঁচ লিগের কাতারে থাকা কেন!
ম্যাচে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী তখন ১-১ গোলের সমতায়। ২৮ মিনিটে বার্সার কর্নার থেকে লামিনে ইয়ামালের টোকা কোনোমতে ঠেকান রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার আন্দ্রি লুনিন। ক্যামেরার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল দেখেও ঠিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলটি পুরোপুরি গোললাইন পেরোনোর আগেই লুনিন ঠেকিয়েছেন কি না! ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির রায় মেনে গোল দেননি মাঠের রেফারি। ধারাভাষ্যকারেরাও সে সময় গোললাইন প্রযুক্তির অনুপস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপারটি ইতমধ্যেই ঝড় তুলেছে। গোলটি পেলে যে বার্সাকে হারতে হয় না, রিয়ালও লিগ শিরোপার হাত ছোঁয়া দূরত্বে যায় না!
৩২ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় বার্সা। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় জিরোনা। হাতে ৬ ম্যাচ রেখে বার্সার সঙ্গে ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে রিয়াল।
এই ৬ ম্যাচ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্ট তুলে নিতে পারবে বার্সা। এখনই ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় নিজেদের বাকি ৬ ম্যাচ থেকে আর ৮ পয়েন্ট তুলে নিতে পারলেই ৩৬তম লিগ জয় নিশ্চিত হবে রিয়ালের। অন্যদিকে বার্সা ট্রফি ছাড়াই মৌসুম শেষের অপেক্ষায়।