আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান (ফিফা), এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর একাডেমিক নিবন্ধন (ওয়ান স্টার) পেয়েছে সদর উপজেলা স্পোর্টস একাডেমি, সিলেট (সোসাস)।
শনিবার (১ অক্টোবর) ঢাকাস্থ বাফুফের কনফারেন্সরুমে একাডেমি পরিচালকদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
সিলেট সদর উপজেলা স্পোর্টস একাডেমির পক্ষে সনদপত্র গ্রহণ করেন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও চিফ কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক ওলিউর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুহিন আহমদ চৌধুরী।
একাডেমিক স্বীকৃতিপত্র তুলে দেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল থমাস স্মলি।
এসময় তিনি একাডেমির কার্যক্রম সেম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের ফুটবলকে সমৃদ্ধ করতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছে বিভিন্ন একাডেমি। যা ফুটবল উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। স্বীকৃতপ্রাপ্ত একাডেমিগুলো বাফুফের পরিবারভূক্ত। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের ফুটবলের একটা বড় পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে একাডেমিগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে এসব একাডেমি থেকে সেরা খেলোয়াড়দের ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। ট্রায়ালে যারা সিলেক্ট হবে, তারা সরাসরি জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পাবে। এছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারিতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল একাডেমিকে নিয়ে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। সেখান থেকেও সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা হবে। পাশাপাশি তিনি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কথাও তুলে ধরেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা মাহবুব আলম পলো, কো-অর্ডিনেটর সাঈদ হাসান।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে সদর উপজেলা স্পোর্টস একাডেমি, সিলেট। এরপর থেকে নিয়মিত ক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরি করে আসছে এই একাডেমি। একাডেমির প্রধান কোচ হিসেবে রয়েছেন বি লাইসেন্সপ্রাপ্ত লিয়াকত আলী চেরাগ ও সহকারী কোচ হিসেবে রয়েছেন জাহেদ আহমদ। এবছর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, সাহেবের বাজার হাইস্কুল মাঠ ও বাদাঘাটস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের মাঠে ৩টি ক্যাম্প পরিচালনা করছে সোসাস।