হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে খালার জানাযা পড়ে আপন ২ ভাইয়ের বাড়ি ফেরা হলো না। পথিমধ্যে সুটকী নদীর কাছে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের ভাটিপাড়া এলাকায় এস্কেভেটর ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুজন।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাত পৌনে ৮টায় হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের ভাটি পাড়া এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে নিহত দু’জন হলেন, আব্দুল মঈন (৬৫) তাঁর সহোদর তাজ উদ্দিন (৪৫)।
নিহতরা বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের অন্তর্গত ছিলাপাঞ্জা গ্রামের মৃত কালাই উল্লাহর পুত্র।
এ ঘটনায় শিশুসহ ওই পরিবারের আরো চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহের গাড়ি দিয়ে হতাহতদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহতরা হলেন, নিহত তাজউদ্দিনের ছেলে মিশকাত (৭), নিহত মহিন উদ্দিনের স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৫৫), চিলাপাঞ্জা গ্রামের নবীর হোসেনের স্ত্রী খাইরুন্নেছা (৫২) ও একই গ্রামের মিন্নত আলীর ছেলে মো. আলী।
হতাহতদের স্বজন ও হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খালার জানাজা পড়ার জন্য নিহত দুই ভাই তাদের পরিবারের লোকজন বানিয়াচংয়ের উজিরপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। ইফতারের পর দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে তারা বানিয়াচং ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া নামক স্থানে একটি এক্সভেটর সাথে ধাক্কা লেগে দুটি সিএনজি উল্টে যায়। এতে গুরুতর আহত হন মহিন উদ্দিন ও তার আপন ভাই তাজউদ্দিন। আহত হন পরিবারের আরো চারজন।
এ সময় বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ হবিগঞ্জ শহর থেকে বানিয়াচং যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনা দেখে তিনি তার গাড়ি দিয়ে হতাহতদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, ‘আমি হবিগঞ্জ শহর থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি দেখতে পাই। তখন অনেকগুলো গাড়ি সেখানে থাকলেও কেউ রোগীদের নিতে রাজি হননি। তাৎক্ষণিক আমি আমার গাড়ি দিয়ে উনাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। পরে আমি অন্য একটি সিএনজি নিয়ে অফিসে চলে আসি। পরে জানতে পেরেছি আহত দুই সহোদর মৃত্যুবরণ করেছেন।’