ট্রাক মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

‘বহিষ্কৃত ছয়ফুল সমিতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন’

সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ, তহবিল আত্মসাৎ এবং সমিতির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ-কার্ভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে সভায় সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুলকে বহিষ্কার করা হয়। আর এ কারণে তিনি সমিতির দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা এমন অভিযোগ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সমাজকল্যাণ সম্পাদক রিমাদ আহমদ রুবেল লিখিত বক্তব্যে বলেন, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ, তহবিল আত্মসাৎ এবং সমিতির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কারণে গত ১৫ অক্টোবর সভাপতির দায়িত্বে থাকা গোলাম হাদী ছয়ফুলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের উপস্থিতিতে বিশেষ সভায় বহিষ্কার করা হয়। আর বহিষ্কারের বিষয়টি রেজুলেশন করে ১৭ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট গোলাম হাদী ছয়ফুলকে জানানো হয়।

তিনি বলেন, বহিষ্কারের বিষয়টি গোলাম হাদী ছয়ফুলকে জানানো হলেও পরিবহন সংগঠনের সাথে জড়িত থাকায় তার সামাজিক অবস্থানের কথা বিবেচনায় গণমাধ্যমে বিষয়টি আমরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করিনি। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ১৭ অক্টোবর সমিতির ৩১ সদস্যের কার্যকরী কমিটিতে থাকা তার ১১ অনুসারী নিয়ে কথিত সভার মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়জুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ মো. মোহিদ মিয়াকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠান। একই সাথে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. কয়ছর আলী জালালীকে সাময়িক বহিষ্কার করার কথাও উল্লেখ করা হয়। গোলাম হাদী ছয়ফুল নিজের অবৈধ কার্যকলাপ ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যের মতামত না নিয়ে সংগঠনের গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে বহিষ্কার বিষয়ক অপপ্রচার চালিয়ে সমিতিকে বিতর্কিত করে যাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দুটি সংগঠন এক হয়ে সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ-কার্ভার্ডভ্যান মালিক সমিতি নামে যাত্রা শুরু করে। আর এর অফিস হিসেবে গোলাম হাদী ছয়ফুলের অফিসকে ব্যবহার করা হয়। আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য ওই অফিস করা হলেও সমিতির সকল কাগজপত্র ও হিসাব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ১১ অনুসারী নিয়ে বহিষ্কার বিষয়ক যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাতে সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ করার কথা বললেও সমিতির সকল হিসাব ছিল তার জিম্মায়। তিনি সদস্যদের চাপে পড়ে অডিটবিহীন একটি হিসাব ব্যাংক স্টেটম্যানসহ দিলেও এতে রয়েছে বেশ ফাঁকি। যেখানে গোলাম হাদী ছয়ফুল নিজেই ছিলেন সমিতির হিসাবের নিয়ন্ত্রক, সেখানে অন্যদের বিরুদ্ধে তহবিল আত্মসাতের বিষয়টি ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সমিতির সুনাম নষ্টের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গোলাম হাদী ছয়ফুল ও তার কয়েকজন সুবিধাভোগী। তারা অর্থ আত্মসাৎসহ সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপকে বৈধতা দিতে কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নিজেদের দলে টানার অপচেষ্টা করছেন। অনেককে হুমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহানুর রহমান, সহ-সভাপতি পুলক কবির চৌধুরী, মোহাম্মদ মছব্বির, আরিফ আহমদ সুমন, নারায়ন পুরকায়স্থ ফনি, কয়েছ আহমদ, সাধারণ সমম্পাদক ফয়জুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আলী জালালী, মো. শাহজাহান আহমদ, অর্থ সম্পাদক মোহিত মিয়াসহ অন্যরা।