২৪ ঘন্টার মধ্যেই সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে কোরবানীর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। অথচ নগর পরিচ্ছন্ন হয়ে যায় মাত্র পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই।
এমন বাস্তবতায় কোরবানীর পশুর হাট ও কোরবানীর পশু জবাইয়ের বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আরিফ। নগরবাসির সহযোগিতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নগর পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ দুপুরে আলাপকালে মেয়র জানান, বেলা দুইটার মধ্যেই নগরীর প্রায় ৮০ ভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়ে যায়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নগর পরিচ্ছন্ন করার কৃতিত্ব সিসিকের কর্মীদেরই দেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বলেন, সবাই পরিবারের সাথে ঈদ করছে। অথচ সিকিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের আনন্দ নেই। সকাল থেকেই তারা মাঠে পড়ে আছেন। তারা অনেক ডেডিকেটেড। তাদের কারণেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে নগর পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি নগরীর বাসিন্দারাও আগের থেকে অনেক সচেতন।
তিনি বলেন, নির্ধারিত ৮টি বৈধ পশুর হাটের পরিবর্তে নগরে ছিল অসংখ্য পশুর হাট। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি থাকলে এসব অবৈধ পশুর হাট বসানো সম্ভব হতো না। এক্ষেত্রে নগরও পরিচ্ছন্ন করা যেতো আরো সহজেই।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন ২০২৩) ভোর থেকে নগরের স্থায়ী অস্থায়ী কোরবানীর পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু করে সিসিক। সন্ধ্যার মধ্যেই লক্ষমাত্রা অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা কাজ শেষ হয়েছে। এবার ঈদে নগর পরিচ্ছন্নতায় ১০টি টিম সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করে।
গেল বছরের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নগর পরিচ্ছন্ন করতে ৩ স্থরে স্থায়ী ও অস্থায়ী ৩২০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করেন। মহানগরের ৪২ ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা কাজ ও বর্জ্য অপসারণের পরপর জীবানুমুক্তকরণে ছিটানো হয় জীবাণুনাশকও ঔষধও।