বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ৩ ঘণ্টা আগেই এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য দুইটি চেয়ার ফাকা রাখা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টায় কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়েছে। এখন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন।
সমাবেশ স্থলে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে প্লাকার্ড, ব্যানার এবং ধানের শীষ নিয়ে বড় বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা।
এদিকে জেলা মোটর মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটের কারণে দুই থেকে তিন দিন আগে থেকেই বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশে অংশ নিতে বরিশাল নগরীতে আসেন নেতা-কর্মীরা। আবাসিক হোটেলগুলোতে জায়গা না হওয়ায় সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) সমাবেশস্থলে ও এর চতুর পাশে নির্ঘুম রাত কাটান তারা।
অন্যদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে টহল দিচ্ছে।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, শনিবার বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ সম্পন্ন করেছে দলটি।
গত ২২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বিএনপির ইস্যুভিত্তিক এই আন্দোলন বিভাগীয় পর্যায়ের গণসমাবেশের কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের পর ধারাবাহিকভাবে আজ ৫ নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে, ১৯ নভেম্বর সিলেটে, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় এবং ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে দলটি। সবশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।