বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সিসিকের জরুরি সভা

বন্যায় সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকার তলিয়ে যাওয়া রাস্তা থেকে পানি নেমেছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হলে প্লাবিত সকল এলাকা থেকে পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার (৫ জুন) রাত থেকে টানা বর্ষণে সিলেট নগরীর সুরমা নদীতে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেলেও ভয়াবহ কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। দিনের বেলা পানি কমলেও রাতভর টানা বর্ষণে আবারও বৃদ্ধি পায় সুরমা নদীর পানি।

সুরমা নদীর পানি আশানুরূপ ভাবে কমছে না। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্যায় সার্বিক পরিস্থিতি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। আকস্মিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিও রয়েছে সিসিকের।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বুধবার রাতে ১১০ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে। তবে দিনের বেলা বৃষ্টি না হওয়ায় সুরমা নদীর পানি পুনরায় কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ১০.৭২ সেন্টিমিটারে রয়েছে। গত সোমবার সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১০.৯৪ পর্যন্ত উঠেছিল এবং ২১৪ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছিল।

এদিকে, বন্যার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে আসা ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরানের সভাপতিত্বে বুধবার (০৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় সভাকক্ষে এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলরদের ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের মাধ্যমে চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে জানা গেছে, সিসিকের বেশির ভাগ এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নেওয়া মানুষ অনেকেই নিজি নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। সিসিকের পক্ষ থেকে প্রতিদিনের মত এখনো আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবরসহ বিভিন্ন ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, গতরাত টানা বর্ষণে সুরমা নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পায় তবে দিনের বেলা সে পানি নেমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। নগরীর বন্যা কবলিত সড়কগুলো থেকে পানি নেমে গেছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তার জন্য ৩৩ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত রান্না করা খাবার ও ওষুধ সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। তবে অনেক আশ্রয় কেন্দ্র থেকে লোকজন বাসা-বাড়িতে ফিরে গেছেন।