বন্যার প্রভাব পড়েছে পশুর হাটে, নেই ক্রেতা-বিক্রেতা

কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে প্রভাব পড়েছে কোরবানির পশুর হাটে।

আজ বুধবার (২৯ জুন) উপজেলা সদরের পৌরশহরের হেলিপ্যাড মাঠে কোরবানির প্রথম পশুর হাট বসেছে। সেই হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে মাত্র একটি গবাদি পশু উঠেছে। পশুশূন্য হাটে নেই ক্রেতা-বিক্রেতা।

হাটে গরু নিয়ে আসা পৌর এলাকার ইকড়ছই পারুয়া বাড়ির কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কিছুক্ষণ আগে একটি গবাদি পশু হাটে নিয়ে এসেছি। এখনও হাটে আর কেউ গরু নিয়ে আসেননি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়তো বাজার কিছুটা জমতে পারে। তবে আশানুরূপ হবে না। কারণ এখনও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। মানুষ এখনও পানিবন্দি। এজন্য হাট জমবে না।

হাটের ইজারাদার মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, কোরবানির ঈদের প্রথম পশুর হাট আজ বসিয়েছি আমরা। বন্যার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি কম। তবে বিকেলের দিকে হাট কিছুটা জমতে পারে।

জগন্নাথপুর গ্রামের দিলসুন্দর আলী বলেন, আমাদের বাড়ি-ঘরে পানি। এবার ঈদ করতে পারব না। টাকা-পয়সা হাতে নেই।

জগন্নাথপুর এলাকার বেদে ঝুমা বেগম বলেন, পানি আমাদের শেষ করে দিয়েছে। এবার ঈদে গরুর মাংস কেনার টাকা নেই। বাচ্চাদের জন্য কাপড়ও কিনতে পারব না।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন জগন্নাথপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। গত কয়েকদিনে উপজেলা সদরের উঁচু এলাকা থেকে বন্যার পানি কমলেও নিচু এলাকার পানি খুব ধীরে নামছে। হাওরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। পানি কমার সঙ্গে বাড়ছে দুর্ভোগ। গত ১২ দিনেও স্বাভাবিক হয়নি সড়ক যোগযোগ ব্যবস্থা। ডুবে আছে অসংখ্য গ্রামীণ রাস্তাঘাট। এছাড়া অনেক বসতবাড়িতেও পানি রয়েছে। বন্যার কারণে এবারের ঈদে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।