প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ওসমানীনগরের ৮টি ইউনিয়নের বন্যায় আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত কোনো মানুষ যাতে সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশাসন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সকলের সহযোগিতা এবং সমন্বয়ে আকস্মিক বন্যা মোকাবেলা করতে হবে। বন্যা আক্রান্ত মানুষের সঠিক পরিসংখ্যান নিরূপণের মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দের জন্য তালিকা তৈরি করতে হবে। উপজেলার যে এলাকাতেই দুর্গত মানুষের খাদ্যসহ সরকারি সহায়তার প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিক মানুষের নিকট খাদ্য পৌছে দিতে হবে।
গতকাল (১৮ জুন) মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টায় ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আকস্মিক বন্যা মোকাবেলায় বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরি এমপি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার(ভূমি) শাহানাজ পারভীন, ওসমানীনগর থানার ওসি(তদন্ত) নিপেন্দ্র নাথ ঘোষ, উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল আহমদ, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, সহ-সভাপতি আলাউর রহমান আলা, সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি সাহেদ আহমদ মুছা, তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক, পশ্চিম পৈলনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী চৌধুরী সুমন, ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবেল আহমদ সেকেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনা, সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন, নেফা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর আহমদ, আফরোজ আলী মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা হিরন মিয়া, মনোর আহমদ, ফারুম মিয়া, শামীম আহমদ চৌধুরী, ইউপি সদস্য শাহ ইসমাইল আলী, আব্দুল কাইয়ুম, আনহার মিয়া, স্বপন আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবা লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, ফররুখ আহমদ, তাজপুর ইউপি যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আহমদ আবির সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক ওসমানীনগরের ৮টি ইউনিয়নের ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। এতে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৮ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৪শ মানুষ আশ্রয় নেয়। ইতিমধ্যে বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২২৫ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ ও ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়।