কোনো জামানত ছাড়াই পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে সর্বোচ্চ ৭৫০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের জন্য ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন নিম্ন-মধ্যবিত্তরা। আর এ ঋণের সুদহার হবে ৫ শতাংশ।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সোমবার (২৫ জুলাই) এ নির্দেশনা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশবান্ধব খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান ৪০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতার নির্দেশনায় নতুন করে ফ্ল্যাট নির্মাণ ও কেনায় ঋণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায়, বিদ্যমান পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের সুদহার সব পর্যায়ে এক শতাংশ করে কমানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে পরিবেশবান্ধব হিসেবে বিবেচিত ৬৮টি পণ্যে কম সুদের এ ঋণ নিতে পারবেন গ্রাহক।
পরিবেশবান্ধব খাতে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এতদিন চার শতাংশ সুদে তহবিল পেত। এখন এক শতাংশ কমানো হয়েছে তারা অর্থ পাবে তিন শতাংশ সুদে।
ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়ে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। এ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম মেয়াদি ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৫ শতাংশ, পাঁচ থেকে আট বছরের কম মেয়াদে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং আট বছরের বেশি মেয়াদি ৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কেনার জন্য ১৮ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছর মেয়াদি ঋণ নেওয়া যাবে। অর্থাৎ ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে দেড় বছর পর। ব্যক্তির পাশাপাশি ক্ষুদ্র ইউনিট সমন্বিত বহুতল বিশিষ্ট পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণেও ঋণ দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে আবাসন কোম্পানি ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। কোম্পানির জন্যও সুদহার, ঋণের মেয়াদ ও গ্রেস পিরিয়ড একই থাকবে।