ফ্রান্সে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার যুবক সোয়েব আহমদ (২২)এর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বেলা একটার দিকে প্যারিস শহরের একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সোয়েব বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম এলাকার মৃত সমছ উদ্দিনের ছেলে। এই ঘটনায় ফ্রান্সের পুলিশ পাঁচজকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে।
সোয়েবের মৃত্যু প্রথমে রহস্যজনক মনে হলেও তদন্ত শেষে ফ্রান্সের পুলিশ জানিয়েছে, একধরনের মানসিক রোগের কারণে সোয়েব নিজেই নিজের অজান্তে চাকু দিয়ে গলা কেটে ফেলে। এতে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কারও কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
শনিবার রাতে মুঠোফোনে ফ্রান্স প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক নূরুল ওয়াহিদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক নূরুল ওয়াহিদ বলেন, সোয়েব দীর্ঘদিন ধরে একধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছিলো। যার কারণে সে চাকু দিয়ে নিজেই নিজের অজান্তে গলা কেটে ফেলে। এতে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছিল। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাঁর লাশ দেশে পাঠানো হবে।
নিহতের স্বজন ও ফ্রান্স প্রবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোয়েব আহমদ দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলেন। কয়েকমাস আগে তিনি ফ্রান্সে পাড়ি দেন। সেখানে যাওয়ার পর থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন সোয়েব। এরপর তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সোয়েবকে ছাড়পত্র দেয়। এরপর সোয়েব তার মামাতো ভাই বেলাল আহমদের বাসায় উঠেন। ওই বাসায় গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে সোয়েবের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সোয়েবের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
এদিকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে সোয়েবের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
নিহত সোয়েবের চাচাতো ভাই জাকারিয়া আহমদ নোমান বলেন, সোয়েব মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। এ কারণে সে নিজেই নিজের গলা কেটে ফেলেছে বলে শুনেছি। ঘটনাটি আসলে দুঃখজনক। তার লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।