ফিলিস্তিনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) তেজগাঁও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভার পাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শনিবার ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের শোক দিবস ঘোষণা করেছি। সেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এসময় তিনি বলেন, ইসরাইল যেভাবে হাসপাতাল হামলা করে নারী-শিশুদের হত্যা করেছে, আমরা একটা নিন্দা জানিয়েছি। আমাদের কথা হচ্ছে, দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিরা তাদের ন্যায্য জায়গা যেন ফেরত পায়, যে জায়গাগুলো দখল করছে তাদের দিতে হবে। সেখানে শুধু মুসলমান নয়, খ্রিষ্টান, ইহুদি অনেকেই ছিল, যারা মারা গেছেন। আমি অনুরোধ করবো আগামী শুক্রবার সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মসজিদে যেন জুমার পরে এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য দোয়া এবং প্রার্থনা করা হয়।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের আজকের যে শিশু ও নারী আহত রয়েছে, তাদের জন্য ইতোমধ্যে আমি আমার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলে দিয়েছি ওষুধের ব্যবস্থা করতে। আমাদের অফিস থেকে যোগাযোগ করে তাদের জন্য কিছু শুকনো খাদ্য বা শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য আমরা পাঠাবো। সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিচ্ছি। আমাদের যতটুকু সামর্থ্য থাকুক আমরা দুর্গত মানুষের পাশে আছি। ওআইসির যারা রাষ্ট্রদূত আছে তাদের সাথে আমরা গতকাল বৈঠকে বসেছি। সেখানে বলেছি, সকলকে এক হয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। বারবার তাদের ওপর আঘাত হানা। এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। এটা আমরা মানতে পারি না। আমরা যতটুকু পারি আমরা করব।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অসম যুদ্ধে এ পর্যন্ত হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরাইলি। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে দেড় শতাধিক বেসামরিক ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গেছে হামাস। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।
অন্যদিকে, গত ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা বর্ষণে গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ৪৭৮ জনে এবং আহত হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
সূত্র : ঢাকাপোস্ট