প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি মানবিক মানুষ হয়ে গড়ে ওঠতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে সন্ধিৎসু ও দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষার্থী সৃষ্টির লক্ষ্যে গবেষনা ও উদ্ভাবনসহ নানা নিরীক্ষাধর্মী কর্মযজ্ঞে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করার কোন বিকল্প থাকতে পারে না।’
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে মানবসম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে এই মহাযজ্ঞে কৃতিত্বের ছাপ রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক, বরেণ্য ইতিহাসবিদ ও লেখক প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হবে ভিন্নমতের চারণক্ষেত্র। স্বাধীন চিন্তাবিকাশে ভিন্নমতের পোষকতার বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গবেষণা একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করে। তাই আমাদের প্রধানতম কাজ হচ্ছে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করা।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেসবাহউদ্দিন আহমদ এবং ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর। এছাড়াও অতিথি ছিলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের প্রধান উপদেষ্টা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি ও ট্রাস্টের চেয়ারপারসন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামীম আহমদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেবের উপস্থাপনায় মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন খালেদ হোসেন এবং আইন অনুষদের ডিন মাহমুদুল হাসান খান স্ব স্ব ফ্যাকাল্টির গ্র্যাজুয়েট তালিকা উপস্থাপন করেন। এসময় চ্যান্সেলর প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের পক্ষে বক্তব্য দেন পাপ্পু ভট্টাচার্য।
সমাবর্তনে ফল ২০০৯ থেকে স্প্রিং ২০২১ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ টি বিভাগের মোট ৬ হাজার ৭শ ২৩ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েট সনদ অর্জন করে। এছাড়াও চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান, ডিন এবং স্পেশাল এপ্রিসিয়েশন এওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে মোট ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে এ অনুষ্ঠানে পদক প্রদান করা হয়।