সিলেট বিভাগের ন্যায্য দাবী-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত রাজনৈতিক সংগঠন ‘সিলটি পাঞ্চায়িত’র কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকল আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার আন্তর্জাতিক বিমান উঠা-নামার জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাবরে লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ‘সিলটি পাঞ্চায়িত’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমদ চৌধুরী এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন দূতাবাসের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘স্বৈরাচার হাসিনাবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে লন্ডন প্রবাসীসহ সারা বিশ্বের সিলেট বিভাগের প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। সেই সাথে সিলেট বিভাগের প্রবাসীরা প্রবাসে জনসভা, মিছিল করে আন্দোলনকে আরো গতিশীল করে তুলেন। সেই সাথে ‘সিলটি পাঞ্চায়িত’ও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অন্যতম প্রধান প্রাণশক্তি। অথচ সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা করলেও ইউরোপ থেকে বাংলাদেশ বিমান ছাড়া অন্য সংস্থার আন্তর্জাতিক বিমান উঠা-নামার কোন অনুমতি নাই, যা প্রতিযোগিতামূলক নয়। প্রতিযোগিতা না থাকায় অধিক টিকিট মূল্যে সিলেট বিভাগের প্রবাসীরা প্রবাস থেকে সিলেটে যাতায়াত করতে হয়। টিকিটের দাম কম হলে অধিক সংখ্যক প্রবাসীরা দেশে আগমন করবেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ভাল। প্রতিযোগিতা না থাকায় যাত্রী সেবার মানও বাড়ে না।’
বাংলাদেশের বিমান যদি যুক্তরাজ্য থেকে প্রথমে সিলেটে নেমে পরে ঢাকায় গিয়ে জ্বালানী নিতে পারে তবে এ সমান সুযোগ অন্য সকল বিমান সংস্থাকেও দেওয়া উচিত বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। স্মারকলিপিতে সকল বিমান সংস্থাকে বাংলাদেশ বিমানের মত অবিলম্বে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান উঠা-নামার সুযোগ দেওয়ার দাবী জানানো হয়।