মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেছেন, স্বৈরাচার চলে গেছে, তার আর ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচার পালিয়ে গিয়ে ফিরে আসেনি। এটাই সত্য, এটাই বাস্তবতা।
তিনি শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের গভর্নমেন্ট স্কুল মাঠে আয়োজিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ মৌলভীবাজার জেলার শাখার কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
হাজার হাজার জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জুলাই -আগস্টের ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের ছাত্র জনতার বিপ্লব না হলে আজকে আমরা প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করতে পারতাম না। প্রকাশ্যে কথা বলতে পারতাম না। আজকে আমরা স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশে এমন ভাবে লুটপাট করেছে যা প্রতিদিন অনলাইন পত্রপত্রিকায় টেলিভিশনে আমরা দেখছি। উন্নয়নের মহাড়কের নামে লুটপাট ও লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচারের চিত্র। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরিবার ও এ লুটপাটকারী দলের টপ টু বটম সকলে মিলেমিশে দেশের অর্থনীতি লুটেপুটে খেয়ে ফোকলা করে দেয়ার চিত্র।’
ময়ূন বলেন, স্বৈরাচারিনী হাসিনা দেশের অর্থনীতির ভান্ডার একেবারে নি:স্ব করে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। যদি জুলাই-আগস্টের বিপ্লব না হত, এই স্কুল -কলেজ- ইউনিভার্সিটির ছাত্ররাসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ও ছাত্র-জনতা রাজপথে না নেমে আসত তাহলে হাসিনা আজও ক্ষমতাচ্যুত হত না। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতো না। আমাদের দেশটাও বাঁচত না।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত সাড়ে ১৫ বছর এ জেলায় বিএনপিকে সভা সমাবেশ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সমবেত হতে দেয়নি। জামায়াতে ইসলামকে সমবেত হতে দেয়নি। আজকে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমাদের দাবী ছিল এ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। দেশ ত্যাগ নয়, পদত্যাগ করে একটি কেয়ার টেকার সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার হবে। কিন্তু হাসিনা সরকার পদত্যাগ না করে পালিয়ে দেশ ত্যাগ করেছে। আজকে আমরা ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছি। স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি। এখন আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য থেকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে আমরা মুক্ত বাতাসে মুক্ত আলোতে আমরা বাইরে সমাবেশ করতে পারছি। কথা বলতে পারছি। আমাদের নেতৃবৃন্দও কথাগুলো শুনতে পারছেন।’
জুলাই আগস্ট আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন, যারা এ আন্দোলনে আহত হয়েছেন পঙ্গু হয়েছেন তাঁদের আশু সুস্থতা কামনা করি।’