আইজিপি হওয়ার পর প্রথমবার নিজ জেলায় এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ব্যক্তিগত সফরে সুনামগঞ্জ আসেন তিনি।
সুনামগঞ্জের হাওরের বাতাস ও সংগ্রাম নিয়ে আইজিপি বলেন, হাওরের বাতাস লাগলেই মনে হয় নিজের মায়ের কাছে এসেছি, মাটির কাছে এসেছি। সুনামগঞ্জের মানুষ সংগ্রামী, তাদের সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। নিঃসন্দেহে এটা একটা অন্য রকম অনুভূতি। সুনামগঞ্জের মানুষ দেখলেই ভালো লাগে। যেহেতু এখানে বড় হয়েছি। আমি যত ক্ষুদ্রই হই অথবা বড়ই হই এই এলাকাকে অস্বীকার করতে পারব না। এই এলাকার জন্যই আমি আজ এখানে এসেছি।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কোনো জেলা সফরে এলাম। এর আগে একবার অফিসিয়াল কাজে অন্য জেলায় গিয়েছি। আমি এই এলাকার সন্তান। এই এলাকার পানির সঙ্গে, মাটির সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। ঢেউয়ের মাঝে সাঁতার শিখেছি। যখন ঝড় আসে, বৃষ্টি আসে, তখন আল্লাহর নাম জপেছি। সুনামগঞ্জের মানুষের দোয়ায় আইজিপি হয়েছি। সুনামগঞ্জে জন্ম বলেই হয়তো আজ আমি আইজিপি।
সুনামগঞ্জের পর্যটন নিয়ে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ পর্যটন এলাকা হলেও এখানে ট্যুরিস্ট পুলিশ নেই। ট্যুরিস্ট পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় আছে। সিলেটেও রয়েছে। সুনামগঞ্জেও ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমি আইজিপি থাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের একটা ইউনিট দেওয়া যায়।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে অবতরণ করেন। পরে সেখানে তিনি একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স উদ্বোধন ও জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় যোগ দেন। পরে তিনি সদর থানার পুলিশ সুপার শপিংমল উদ্বোধন করেন।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা। বিভিন্ন জেলার দায়িত্বের পাশাপাশি সিআইডি প্রধান ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ৩০ সেপ্টেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান।