পায়রায় উৎপাদন শুরু, কমবে লোডশেডিং

কয়লা সঙ্কটে বন্ধ হয়ে যাওয়া পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আবারও উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট অনেকটাই লাঘব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রবিবার (২৫ জুন) বিকাল ৪টা থেকে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম।

বিসিপিসি সূত্রে জানা যায়, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। কয়লাসংকটের কারণে এ মাসের ৫ জুন দেশের বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। ডলার-সংকটে বিল বকেয়া থাকায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে সারাদেশে ভয়াবহ লোডশেডিং দেখা দেয়।

২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদন শুরু করে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এরপর এই প্রথম কয়লাসংকটের কারণে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়। গত ২৩ জুন ইন্দোনেশিয়া থেকে এম ভি অ্যাথেনা নামের একটি জাহাজ ৪১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরে এসেছে। এরপর লাইটার জাহাজের মাধ্যমে কয়লা খালাস শুরু হয়। এখনো কয়লা খালাসের কাজ চলছে।

বিসিপিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, প্রথম ইউনিটের উৎপাদনপ্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ফলে সব শঙ্কা দূর করে আমরা আবার উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পারব।

তিনি আরও জানান, আগামী ১ জুলাই ৩৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ আসবে। এভাবে আগামী কয়েক মাসে দু-চার দিন পরপর কয়লা নিয়ে ১৫টি জাহাজ আসবে। এতে প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা আসবে।