দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংসহ সবকটি পাথর কোয়ারি থেকে (ইসিএ বহির্ভূত এলাকায়) পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের দাবিতে মিছিল, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় পিয়াইন পাথর উত্তোলন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের উদ্যোগে এক দফা দাবি নিয়ে স্থানীয় নলজুরি পয়েন্টে এ মিছিল, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
সকাল থেকেই পাথর কোয়ারি সচল করার দাবিতে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সংবলিত ফেস্টুন, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নলজুরি পয়েন্টে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। বেলা গড়িয়ে দুপুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো নলজুরি এলাকা।
মানববন্ধনে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন।
পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমদ, তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন শিকদার, এম নিজাম উদ্দিন, গোলাম রাব্বানী সুমন, মামুন পারভেজ, ফখরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য দেন বৃহত্তর জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সচিব রুবেল আহমদ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাফলংসহ সকল পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, সংগ্রহ ও সরবরাহ করে অত্রাঞ্চলসহ দেশের লক্ষাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এই পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। বেকার হয়ে পড়েছেন পাথর কোয়ারি সংশ্লিষ্ট অন্তত লক্ষাধিক শ্রমিক। বর্তমানে ওই শ্রমিকেরা অনাহারে আর অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন। তাই শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে কোয়ারি সচল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাই।
এদিকে, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির সঙ্গে একমত পোষণ করে সকাল থেকে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার সকল ক্রাশার মিল বন্ধ রাখা হয়। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এতে সড়কের উভয় পাশে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।