সন্তানসম্ভবা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে প্রসব বেদনায় কাতরাতে দেখে রাত ৩টায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন বাজারের ডিউটিরত কয়েকজন পাহারাদার। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আশিকুল্লাস ওই নারীকে রেজিস্টার খাতায় অজ্ঞাত পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে মিডওয়াইফ ও নার্সের সহযোগিতায় নরমাল ডেলিভারিতে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ৩০ বছর বয়সী ওই নারী। পাগলি মা হয়েছে ঠিক কিন্তু পিতৃ পরিচয়ে কেউই এগিয়ে আসছে না। বর্তমানে মা ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছেন।
এদিকে পাগলী মা হয়েছে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নবজাতককে একনজর দেখতে উৎসুক জনতা হাসপাতালে ভীড় জমান। সোমবার ভোররাত ৩টার দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
তাহিরপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম আখঞ্জি জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানসম্ভবা ওই নারীকে তাহিরপুর বাজারে গত ৪/৫ দিন ধরে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত নবজাতকের বাবা পরিচয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাচ্চাটিকে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে দত্তক দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি আমরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, খবর পেয়ে মা-কন্যা সন্তানকে দেখে এসেছি। মা ও শিশুটিকে তাহিরপুর হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দুজনই সুস্থ আছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য বলেন, এই সভ্যযুগেও কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষের লোলুপ দৃষ্টি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীও নিরাপদ থাকছে না। ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও বেদনাদায়ক।