পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফদের রীতিমতো তুলোধুনো করে ৬ উইকেটে ৪০১ রান করেছে নিউজিল্যান্ড।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই মহাগুরুত্বপূর্ণ। সেমিফাইনালে যাবার জন্য দুদলেরই জয় ছাড়া উপায় নেই। এমন অবস্থায় আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের উপর রীতিমতো চড়াও হয়ে খেলেছেন কিউই ব্যাটাররা।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়াটা যে ভুল ছিলো তা বোঝা গেছে কিউইদের নির্দয় ব্যাটিং দেখে। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। প্রথম পাওয়ার-প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তোলে ৬৬ রান।
১১তম ওভারে পাকিস্তানকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন হাসান আলী। তার শর্ট ডেলিভারিতে কটবিহাইন্ড হন কনওয়ে। যা হাসানের শততম ওয়ানডে উইকেট। কনওয়ে ফিরেছেন ৩৯ বলে ৩৫ রান করে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাকিস্তানি বোলারদের নাভিশ্বাস তুলেছেন ইনজুরি থেকে ফেরা কেন উইলিয়ামসন। রবীন্দ্র’র সাথে গড়েন ১৮০ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির মাত্র ৫ রান আগে থাকতে অফস্পিনার ইফতিখার আহমেদের বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হন। ৭৯ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ২টি ছক্কার বাউন্ডারি খেলেন ৯৫ রানে আউট হওয়া উইলিয়ামসন।
তবে এর আগেই ৮৮ বলে বিশ্বকাপের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন রবীন্দ্র। যা কোনো ব্যাটারের অভিষেক আসর ও নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যেও বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ শতক। ৯৪ বলে ১০৮ রান করে থামে রবীন্দ্র’র ইনিংসর। ইনিংসে তিনি ১৫টি চার ও একটি ছয় হাঁকিয়েছেন।
এছাড়া শেষদিকে তাণ্ডব চালানো ড্যারিল মিচেল ১৮ বলে ২৯, মার্ক চ্যাপম্যান ২৭ বলে ৩৯, গ্লেন ফিলিপস ২৫ বলে ৪১ এবং মিচেল স্যান্টনার ১৭ বলে ২৬ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ওয়াসিম ৬০ রানে তিনটি এবং হাসান, ইফতিখার ও রউফ একটি করে উইকেট শিকার করেন। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে রেকর্ড ৪০২ রান করতে হবে পাকিস্তানকে।