গেল বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) হিসাব বিজ্ঞান ২য় পত্রের পরীক্ষায় জকিগঞ্জ সরকারি কলেজের ৮ শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে দাবী করে এর প্রতিবাদে সম্মেলন করেছে বহিস্কৃত শিক্ষার্থী ও তাদের সহপাঠীরা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করে।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা দাবী করে তারা পুরাতন হিসাবে একটি বিষয়েরই পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরুতে জনৈক শাহজাহান খান নামক এক ব্যক্তি হলে প্রবেশ করে জানতে চান কারো নিকট মোবাইল থাকলে দিয়ে দেয়ার জন্য। তখন তারা সাথে থাকা বন্ধ মোবাইলগুলো দিয়ে দেন।
‘পরবর্তীতে পরীক্ষা শুরু হলে শাহজাহান খান হলে এসে জিজ্ঞাসা করেন; মোবাইলগুলো কার কার। আমরা আমাদের বলে স্বীকার করলে তিনি আমাদের প্রশ্ন, উত্তরপত্র, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়া যান। কিছুক্ষণ পর কলেজের অধ্যক্ষ নিয়াজুর রহমান ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা হলে প্রবেশ করে আমাদেরকে চলে যেতে বলেন। এ সময় শাহজাহান খানও আমাদের ধমক দিয়ে হল থেকে চলে যেতে বলেন।’
পরীক্ষার্থীদের দাবি, পরীক্ষা শুরুর আগেই মোবাইল দেওয়ার পরও তাদের বহিস্কার করা হয়। এমনকি শাহজাহান খান পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কোন শিক্ষক না হয়েও হলে প্রবেশ করে তাদের খাতাপত্র নিয়ে যান।
‘এক বিষয়ের পরীক্ষার্থী হওয়া স্বত্বেও পরীক্ষা শুরুর আগে মোবাইল ফোন দেওয়ার পরও কেন আমাদের বহিস্কার করা হলো। আমাদের জীবন নষ্ট করা হলো’ লিখিত বক্তব্যে এমন প্রশ্ন রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে শাহজাহান খান বলেন, হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজে অস্থায়ী অফিস সহকারি হিসাবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের হল সুপারের নির্দেশে আমি হলে যাই।’
কেন্দ্রে হল সুপার ও হাফছা মজুমদার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নিয়াজুর রহমান জানান, শাহজাহান খান পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কেউ নয়। তিনি পরীক্ষায় সহযোগিতা করে থাকেন।