সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে কাঁদছে। কারণ পণ্যের দাম বেশি, কেনার মতো টাকা নেই। কিছু সিন্ডিকেট এই দাম বাড়াচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। আর যদি এ সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে না ভাঙতে পারি তাহলে আমাদের মতো লোকজনের মন্ত্রী থাকার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর পল্টনে ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, দেশে পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। কোনও পণ্যের অভাব নেই। কিন্তু বাজারগুলো কিছু সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ঠিকমতো বাজার করতে পারে না। মানুষ বাজারে গিয়ে কাঁদছে। কারণ পণ্যের দাম বেশি, কেনার মতো টাকা নেই। ব্যবসার নামে এখন লুটপাট চলছে। আমাদের দেশ সবদিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। শুধু বাজার সিন্ডিকেটের কারণে এটা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে বলবো সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আর যদি এ সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারি তাহলে আমাদের মতো লোকজনের মন্ত্রী থাকার দরকার নেই।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ মওকুফ না হলেও বড় গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা মাফ করা হচ্ছে জানিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ব্যাংকের বড় গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করা হয়। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কখনো মওকুফ করে না ব্যাংক। অবৈধভাবে মওকুফ করা এসব টাকা যদি এসএমই খাতে দেওয়া হতো তাহলে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হতো। দেশের দারিদ্র্য বিমোচন হয়ে যেত। উন্নত দেশ গড়ার জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কোনো বিকল্প নেই। তাই এসব উদ্যোক্তাদের সার্বিক দিক থেকে সহযোগিতার পরামর্শ দিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, সরকারের অনেক জমি রয়েছে। কিন্তু এগুলো কাজে লাগছে না। কোনো কোনো জমি আবার বেদখল হয়ে গেছে। যে যার মতো ব্যবহার করছে সেসব জমি। এই জমিগুলোর মধ্য থেকে একটি এসএমই ফাউন্ডেশন এর কার্যালয় করার জন্য বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করেন প্রতিমন্ত্রী।