আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী বছর নির্বাচন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন কোনও প্রকল্প হাতে নেবেন না।’
রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট উড়াল সড়ক এবং টঙ্গী সেতুর একাংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্তের পর তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাজীপুরে মহাসড়কে দুর্ভোগ কমাতে রাজধানীমুখী ফ্লাইওভারের ২ দশমিক ২ কিলোমিটার দুটি লেন খুলে দেওয়া হলো। আগামী মে-জুনের মাঝে প্রকল্পটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুটি লেন চালু হওয়ায় ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ অনেক কমবে। এতে ফ্লাইওভারের বাকি কাজ গতিশীল হবে। প্রকল্পটির ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।’
বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন প্রজেক্ট বিআরটিতে ভুলত্রুটি হতেই পারে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি শুধু সমালোচনা করে। জাতীয় পার্টি চিৎকার করে। কিন্তু তারা কী করেছে? বিএনপির সময় কোনও দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার সিলেটসহ তিন বিভাগের ১০০টি সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মহিরুল ইসলাম খান জানান, ফ্লাইওভার ও সেতুর দুই লেন যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের মতামত পাওয়া গেছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ কমবে। টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে উত্তরা পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক দুই কিলোমিটার। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরও জানান, দুই মহানগরের পুলিশ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে। বাসের জন্য বিশেষায়িত লেন তথা বিআরটি প্রকল্পটি ২০১২ সালে সরকারের অনুমোদন পায়। এ পদ্ধতিতে সড়কের মাঝে দুই লেনে চলবে শুধু বিশেষায়িত বাস। ২০১৬ সালে বিআরটি চালুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঢাকামুখী খুলে দেওয়া লেন দুটি হলো—টঙ্গী ফ্লাইওভারের হাউজ বিল্ডিং ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস অংশ। এর দৈর্ঘ্য দুই দশমিক দুই কিলোমিটার। ২০ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিআরটি লেনের সাড়ে চার কিলোমিটার থাকবে উড়াল সড়ক। বাকি ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লেন মাটির সমতলে নির্মিত হচ্ছে। মাঝে ১৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ১০ লেনের টঙ্গী সেতু রয়েছে। সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। টঙ্গী সেতুর ঢাকামুখী পুরোনো সেতু অপসারণ এবং সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ঢাকা থেকে টঙ্গীমুখী যানবাহনকে পুরোনো সেতু ব্যবহার করতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রিড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, সাবেক গাসিক মেয়র অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান প্রমুখ।