সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ‘সিগন্যাল’ জানার অপেক্ষায় উদগ্রীব সিলেটের মানুষ।
লন্ডন থেকে পাওয়া ‘সিগন্যাল’ লাল না সবুজ তা জানার দিনতারিখ ছিল আগামীকাল শনিবার। মেয়র আরিফ আগেই জানিয়েছিলেন, রেজিস্ট্রারি মাঠে জনগণকে সাথে নিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নির্বাচনের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে তার আগের দিনই জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতই দিলেন মেয়র আরিফ।
শুক্রবার বিকেলে মহানগরীর কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আর কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না।’ এমনকি এই সরকারের আমলে কোন নির্বাচন নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এমন বক্তব্যকে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র আরিফের অংশ না নেওয়ার ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন সিলেটের সাধারণ মানুষ। যে বক্তব্যের মাধ্যমে মেয়র আরিফের সিগন্যালের ধোঁয়াশাও কাটলো।
তবে আগামীকাল শনিবার বিকাল তিনটায় রেজিস্ট্রারি মাঠে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়র আরিফ নির্বাচন করবেন কি না তা পরিস্কার করবেন।
‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধিনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানী, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা বাস্তবায়ন দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।
তবে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। সেখানে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা নগরীর কোর্টপয়েন্টে জমায়েত হয়ে সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ-মিছিল নগরীর জিন্দাবাজার হয়ে সিলেটের চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুরো নগরীর জুড়ে ছিল আইনশৃঙ্লা বাহিনির সতর্ক অবস্থান।
বিএনপির সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।